• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ধুনট সাব রেজিষ্ট্রী কার্যালয়ে মরা গাছের মরণফাঁদ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জন্ম হয়েছিল রাস্তার ধারে। এক সময় আদর-যতœ, মায়া-মমতায় ভরা ছিল শিশুকাল। যেই না শিশুকাল পেরিয়ে উঠলো, মায়া-মমতা সব শেষ। বাড়লো অবহেলা আর অনাদর। তারপর যৌবনের সব সময়টুকু জন্ম স্থানেই কাটিয়ে ধীরে ধীরে ওখানেই মরে যাচ্ছে। এই গল্পটি কোনো মানুষের নয়, জীব বৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী একটি আম গাছের। 

 

শতবর্ষী এই গাছটি কালের সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে আছে বগুড়ার ধুনট উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয় চত্বরে। গাছটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে এখন পল্লবহীন। এটি এখন মানুষের জন্য মরণফাঁদ। গাছটি কাটার জন্য অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ওই কার্যালয়ের দলিল লেখকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

 

সরেজমিন দেখা যায়, ধুনট-সোনাহাটা পাকা সড়কের পাশেই ধুনট সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয়। ওই পাকা সড়ক ঘেঁসেই প্রায় শত বছর আগে আম গাছটির জন্ম। জন্মকালে সাব-রেজিষ্ট্রী কার্যালয় ছিল না। পরবর্তী সময়ে সাব-রেজিষ্ট্রী কার্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হলে সেই গাছটির অবস্থান এখন সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয় চত্বরের অভ্যন্তরে। সাব-রেজিষ্ট্রী কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই ধুনট থানা ভবন। ওই আম গাছের ডাল-পালা বেড়ে থানা ভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে।  

 

জনগুরুত্বপূর্ণ দুই কার্যালয়ে আগত অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর ঝঁকিতে ফেলে প্রাণহীন গাছটি কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে। মরা গাছটিতে ঘুণ পোকারা বাসা বেঁধেছে। আর অতিমাত্রায় পচন ধরায় গাছের শরীর থেকে বাকল খসে পড়ছে। অল্প ঝড়-বৃষ্টিতেই গাছের মরা ডালপালা ভেঙে পড়ছে। সামনে আসছে কালবৈশাখী। তাই গাছটি দ্রæত অপসারণ করা না হলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

 

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মরা আম গাছটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের ডালপালা যেকোনো সময় লোকজনের ওপর ভেঙে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গাছটি দ্রæত অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। 

 

ধুনট সাব-সাবরেজিষ্ট্রার রিপন চন্দ্র মন্ডল বলেন, সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যালয়ে আগত লোকজন তাদের কাজকর্ম সম্পন্ন করছেন। এ সমস্যার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

 

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, সাব-রেজিষ্ট্রী কার্যালয় চত্বরের মরা গাছটি অপসারণের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বন বিভাগের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এ সমস্যাটি দ্রæত সমাধান করা হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল