• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

উন্নয়নের মহাসড়ক এখন নাগরপুরে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন হলো নাগরপুরবাসীর স্বপ্নের আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক বাস্তবায়ন প্রকল্পটি। এমন সংবাদে খুশি নাগরপুরবাসী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

৫৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন যানজটমুক্ত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা এবং এলাকার জনগণের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একনেকে পাশ হওয়া প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে এমনটিই প্রত্যাশা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের। এতে করে শহরের যানযটমুক্তসহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে নাগরপুরবাসী।

এদিকে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও টাঙ্গাইল-৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটুকে নাগরপুরবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

জানা গেছে, আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক হিসেবে কাজ করে। নাগরপুর শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া এই মহাসড়কের দুই পাশে কয়েকটি মার্কেট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে হাট-বাজার, বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার, ডায়াগোনিষ্ট্রিক সেন্টার, ঔষধের দোকানসহ নানা স্থাপনা।

যার ফলে যানবাহনের চাপে এই মহাসড়কের বিশেষ করে নাগরপুর শহরের ভেতর যানজট লেগেই থাকে। এতে করে এ মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত শ্রম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এই যানজটের কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে এ মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের দৈর্ঘ্য ৪০ কি.মি. এবং মানিকগঞ্জ অংশের দৈর্ঘ্য ১৮.৫০ কি.মি. উন্নীতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
 
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রমতে, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে–টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ অংশের আঞ্চলিক মহাসড়কটির যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ শীর্ষক এই প্রকল্প। আর এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৩৫.১০ কোঢি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল এলাকার সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে যানজট নিরসন এবং এই আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশনের সূত্রে আরো জানা যায়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকেপ্র কল্পটি উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের আওতায় প্রথমত সড়কটির ১০ দশমিক ৩০ কিলোমিটারে উন্নীত করে পুণঃনির্মাণ করা হবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ সরু , ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি সেতু ও কালভার্টের স্থলে নতুন করে ১৪টি সেতু ও ২১ টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ৭টি কালভার্ট সম্প্রসারণ করা হবে।এছাড়াও সড়কটিতে বিদ্যমান বাঁকসূমহ সমীকরণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল