রাগী মানুষকে শান্ত করার নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে মস্তিষ্কের জটিল থেকে জটিলতর রোগও সারিয়ে তোলেন চিকিৎসকেরা। কখনো ওষুধেই হয় কাজ হাসিল, কখনো রোগ সারাতে মস্তিষ্কে কাটাছেঁড়া করতে হয়।
কিন্তু মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি কয়েক দশক আগে উঠে এসেছিল বিতর্কের কেন্দ্রে। মস্তিষ্কের অন্যতম বিতর্কিত এই অস্ত্রোপচার পদ্ধতির নাম লোবোটমি সার্জারি। ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল লোবোটমি সার্জারি। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের জটিল রোগের চিকিৎসা করা হত। চিকিৎসা পদ্ধতিও ছিল অত্যন্ত জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
লোবোটমির আর এক নাম লিউকোটমি। এটি এক প্রকারের সাইকোসার্জারি। স্কিৎজোফ্রেনিয়া-সহ নানাবিধ মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসায় এক সময় এই সার্জারির একচেটিয়া প্রয়োগ করা হত। আমেরিকা জুড়ে বহু মানুষ এই চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। লোবোটমি প্রয়োগ করা হয়েছিল হাজার হাজার রোগীর উপর। কেউ সুস্থ হয়েছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে মিলেছিল কাঙ্ক্ষিত ফল। তবে অনেক ক্ষেত্রেই হিতে বিপরীত হয়ে গিয়েছিল।
লোবোটমির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেকেই আরো জটিল মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতেন। মৃত্যুও হত বহু মানুষের। সেই কারণেই এই শল্যচিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে এত বিতর্ক। ষাটের দশকে আমেরিকায় লোবোটমি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কীভাবে অস্ত্রোপচার করা হয় লোবোটমিতে? এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীর মাথার খুলি ফাটিয়ে ঘিলুর নির্দিষ্ট অংশ বার করে আনা হয়। কখনো কখনো হয় ঘিলুর অদলবদলও।
মূলত দুইটি প্রক্রিয়ায় লোবোটমি প্রয়োগ করা হত। প্রথম প্রক্রিয়া অনুযায়ী, শল্যবিদ রোগীর খুলির দুইদিকে দুইটি ছিদ্র করতেন। তারপর লিউকোটোম নামের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিষ্কের টিস্যু কেটে ফেলতেন। দ্বিতীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী, রোগীর চোখের কোটরে যন্ত্র প্রয়োগ করতেন চিকিৎসক। তারপর হাড়ের পাতলা আস্তরণের মধ্যে দিয়ে যন্ত্রটিকে ঘিলু পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হত। একই পদ্ধতিতে কেটে ফেলা হত মস্তিষ্কের টিস্যু।
দাবি, এই চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর মনের ভাব বদল করা যায়। মানসিক ভারসাম্যহীন যে রোগী কখনো হাসেন, কখনো কেঁদে ফেলেন, কখনো আবার তীব্র আক্রোশে ফুঁসতে থাকেন, সেই রোগীকে নিমেষে শান্ত করে দেয় লোবোটমি। চরিত্রগত ভাবে যিনি রাগী, লোবোটমির মাধ্যমে তাকে শান্তশিষ্ট, ক্রোধহীন করে তোলা যায়, দাবি লোবোটমি প্রয়োগ করা চিকিৎসকদের। তবে বিরুদ্ধ মতো বলে, লোবোটমি আসলে রোগীর অনুভূতি শক্তিকে নষ্ট করে। রোগী জড়তায় আক্রান্ত হন। প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
লোবোটমির আবিষ্কর্তা পর্তুগিজ স্নায়ুবিশারদ অ্যান্টোনিয়ো এগাস মনিজ। ১৯৪৯ সালে লোবোটমি সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। কিন্তু তার এই পুরস্কার নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। প্রথম থেকেই একদল চিকিৎসক এবং স্নায়ু বিশেষজ্ঞ লোবোটমির বিরোধিতা করে এসেছেন। তা সত্ত্বেও আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া-সহ একাধিক দেশে ধীরে ধীরে এই চিকিৎসা পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের চেয়ে নারী রোগীদের উপর বেশি প্রয়োগ করা হত লোবোটমি। ১৯৫১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকার লোবোটমি প্রযুক্ত রোগীর ৬০ শতাংশই নারী। যে বছর লোবোটমির আবিষ্কর্তা নোবেল পান, তার ঠিক পরের বছরই এই চিকিৎসা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় সোভিয়েত রাশিয়ায়। এর পর একে একে ইউরোপের অন্যান্য দেশও রাশিয়ার পথে হাঁটে। ১৯৬৭ সালে আমেরিকায় শেষ বার লোবোটমি প্রয়োগ করা হয়েছিল। চিকিৎসক ওয়ালটার ফ্রিম্যানের সেই অস্ত্রোপচারে মৃত্যু হয়েছিল রোগীর। তারপর থেকে আমেরিকায় আর এই অস্ত্রোপচার করা হয়নি।
লোবোটমির পর রোগীদের তাৎক্ষণিক এবং প্রায় আবশ্যিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল খিঁচুনি। এছাড়া, অস্ত্রোপচারের পর রোগী সারাক্ষণই যেন বিভ্রান্ত হয়ে থাকতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হারাতেন আত্মসংযমও। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর অস্বাভাবিক হারে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত লোবোটমির পর। পরবর্তী কালে লোবোটমি নিয়ে খুঁটিনাটি গবেষণা, পর্যবেক্ষণ করেন বিশেষজ্ঞেরা। তাদের দাবি, এই অস্ত্রোপচার মানুষের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধির বিনিময়ে মানসিক রোগের চিকিৎসা করে। অস্ত্রোপচারের পর রোগী কার্যত অনুভূতিশক্তিহীন হয়ে পড়েন।
বলা হয়, লোবোটমি চলাকালীনই মৃত্যু হয়েছে অনেক রোগীর। কেউ কেউ আবার পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অনেক রোগীর মস্তিষ্ক স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে লোবোটমির সাফল্য যে একেবারেই ছিল না, তা নয়। এই অস্ত্রোপচারের পর মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের কেউ কেউ হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পেরেছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে থাকলেও হয়ে উঠেছেন নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আবার কোনো কোনো রোগী লোবোটমির পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন। ১৯৪০ সালে লোবোটমিতে মৃত্যুর হার ছিল ৫ শতাংশ।
লোবোটমিতে পারদর্শী চিকিৎসক ফ্রিম্যান তার এক রোগীর বর্ণনা করে জানান, অস্ত্রোপচারের পর ২৯ বছর বয়সি নারী ঝিনুকের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। জড়তা যেন গ্রাস করেছিল তাকে। তিনি হাসতেন, অলসভাবে বসে থাকতেন, খালি পাত্র থেকে অবিরাম কাপে চা ঢালতেন। লোবোটমি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধের উপরেই ভরসা রাখা হয়েছে। ওষুধ দিয়ে রোগ সারানোর চেষ্টা করা হয়। ওষুধ ব্যর্থ হলে শেষ অস্ত্র হিসাবে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন কেউ কেউ। তবে লোবোটমির প্রয়োগ হয় না আর।
বিশ শতকেই বিপুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল লোবোটমি। স্নায়ুচিকিৎসার একটি জার্নালে লোবোটমি সম্পর্কে লেখা হয়েছিল, ‘লোবোটমির ইতিহাস সংক্ষিপ্ত হলেও ধ্বংসাত্মক। এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। হিংসাত্মক এই অস্ত্রোপচারে দাসত্বের কালিমা লেগে রয়েছে।’
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা
- দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল টাঙ্গাইলের ২০ একর শালবন
- দুই মাস পর দেশে ফিরল সুলেমানের মরদেহ
- গোসল করতে নেমে বাকপ্রতিবন্ধী যুবক ফিরলেন লাশ হয়ে
- ট্রেনে কাটায় মৃত্যু, মাথা ব্রিজের নিচে, ওপরে মরদেহ
- প্রথমবারের মতো খুলনা দেখল ‘ক্যাট শো’
- কিশোরগ্যাং "SWAG 47" এর ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
- এদেশে আর ভোট চুরি হবে না: ইসি আহসান হাবিব
- শাহ আমানতে ৯০ হাজার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী গ্রেফতার
- চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বরকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা
- ৭ বিয়ে করা স্বামীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি, পালিয়ে বাঁচলেন আনসার সদস্য
- চুয়াডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে ৫ পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই
- টাঙ্গাইলে তীব্র দাবদাহে ‘সিল্কসিটি ট্রেনে’ আগুন
- তীব্র দাবদাহ, পথচারীদের জন্য বিনামূল্যে পানির বুথ স্থাপন
- রাস্তার আইল্যান্ডে নবজাতকের মরদেহ
- অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা কারাগারে
- ট্রেনের এসি বগিতেও ঘামছে মানুষ, দায়িত্বরতরা বলছেন ‘বাতাস কম’
- দাবদাহে অকেজো ৩৩ হাজার নলকূপ, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
- পুকুরে মিলল দেশীয় প্রজাতির আড়াই কেজির তেলাপিয়া
- তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে করিমগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেফতার
- চট্টগ্রামে ট্রাকভর্তি চোরাই বিটুমিনসহ আটক ২
- লালমনিরহাটে হিটস্ট্রোকে পেপার বিক্রেতার মৃত্যু
- বিয়ে না দেওয়ায় মায়ের প্রাণ কেড়ে নিলেন ছেলে
- জমির বিরোধ: মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার প্রচেষ্টা আছে সরকারের
- জাতির পিতার সমাধিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- এসটিপি ছাড়া নতুন বিল্ডিং করার অনুমোদন নয় : গণপূর্ত মন্ত্রী
- মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে জব করার সুযোগ
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষর
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল টাঙ্গাইলের ২০ একর শালবন
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার