• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

শ্রীলংকাকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরো বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য শ্রীলংকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার সুদর্শন দীপাল সুরেশ সিনিভিরন্তে বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশজুড়ে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে বাংলাদেশ এবং এখানে বিদেশিদের জন্য প্রদত্ত অনুকূল ব্যবসার সুযোগ গ্রহণ করে শ্রীলংকার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

হাইকমিশনার বলেন, শ্রীলংকা বাংলাদেশের বিমান খাত এবং নার্সদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিপিং, হাসপাতাল, পর্যটন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক খাতে বিনিয়োগ ও কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি করতে সমর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ এবং শিল্প আসা উচিত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন শ্রীলংকার হাইকমিশনার।

তিনি বলেন, তার দেশ সমুদ্র ভ্রমণ চালুর পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে কালচারাল ট্যুরিজম গড়ে তুলতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায়।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে হাইকমিশনার জানান, তিনি বাংলাদেশের করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় ‘যার পর নাই বিস্মিত’ হয়েছেন।

এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণের মধ্যে করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, যেন লোকজন এর সম্পর্কে সতর্ক হয়। আর এভাবেই এই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।

শ্রীলংকার দূত এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, কেননা সরকার দেশের জনসাধারণের পাশাপাশি কূটনীতিক এবং বিদেশিদেরও টিকা দিচ্ছে।

ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মনোনীত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, অটিজম ক্ষেত্রে তার কাজ প্রশংসনীয়। শ্রীলংকা বাংলাদেশের সঙ্গে অটিজম খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিস্টিক ছেলে-মেয়ে এক সময়ে  পিতা-মাতার জন্য লজ্জার কারণ ছিল। তারা তাদের বাইরে আনতে চাইতেন না। সরকার এই রকম  পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। এটিকে বর্তমানেও একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, কারণ অনেক শিক্ষিত পরিবারও অটিস্টিক বাচ্চাদেরকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অটিস্টিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তাদের শিশুদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ এবং সহায়তা দিচ্ছি। এছাড়া হিজড়াদেরও ভাতা দেয়া হচ্ছে এবং আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

হাইকমিশনার সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের অর্থ নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের লোকজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করে একে ‘যুগান্তকারী’ বলেও উল্লেখ করেন।

ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করে হাই কমিশনার বলেন, দিল্লীতে পড়ালেখা করার সময় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি অমানবিক বর্বরতার পোস্টার দেখে আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার চেষ্টা করি।

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল