• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

গাজর চাষে ভাগ্য খুলছে কৃষকের

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৪  

বগুড়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাড়ছে গাজর চাষাবাদ। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জেলার গাবতলী উপজেলার তিনটি গ্রামে বেশি আবাদ হচ্ছে এ সবজির। এখন গাজর তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। গত মাসে প্রতিমণ গাজর বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। অন্য কাঁচা সবজির চেয়ে গাজর দীর্ঘ সময় ভালো থাকে, দ্রুত নষ্ট হয় না। এসব গাজর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অল্প সময়ে ফলন বেশি হওয়ায় অধিক লাভবান হচ্ছেন জেলার চাষিরা। এছাড়া অন্য ফসল চাষের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় জেলায় গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি মৌসুমে জেলায় ১৭৪ হেক্টর জমিতে গাজর চাষাবাদ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় গাজর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ২৪ হেক্টরে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে গাজর চাষ। আগামীতে চাষ আরো বাড়বে। স্থানীয় বাজারেও ব‍্যাপক চাহিদা থাকাই ক্ষেত থেকেই সব গাজর বিক্রি হচ্ছে। গাবতলী উপজেলার পাঁচমাইল গ্রামের গাজর চাষি ইন্তাজুল জানান, দশ বছর ধরে গাজর চাষ করছেন তিনি। গাজর এমন একটি ফসল যার চাহিদা সব সময়ই থাকে। এ কারণে বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না। আবার দামও ভালো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এবার আমার এক বিঘা জমিতে প্রায় ৯০ মণ গাজর হয়েছে। মার্চে প্রতি মণ গাজর প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে চলতি মাসে দাম কমায় শুরুর দিকে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মণও বিক্রি করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছিল নয় হাজার টাকার মতো। খুব ভালোভাবে এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করতে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। আর বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ৯০ মণের মতো গাজর, যার বাজার মূল‍্য এক লাখ টাকা। এসব কারণে কৃষকদের কাছে গাজর চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়ার গাজর হেলাল উদ্দিন জানান, আলুর চেয়েও গাজর চাষে উৎপাদন বেশি হয়। আলু চাষাবাদে অনেক ঝামেলা হয়। কিন্তু গাজর চাষাবাদে তেমন কোনো ঝামেলা নেই। গাবতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে এখানকার গাজর চাষিরা তাদের গাজর বগুড়াসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আসছেন। সে সময় গাজরের দাম অনেক ভালো থাকায় চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এতে উপজেলার কৃষকরা গাজর চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দিন ফিরোজ জানান, বগুড়া জেলায় গাজরের মোট আবাদ হয় ১৭৪ হেক্টর জমিতে। গত মার্চ পর্যন্ত ১৬২ হেক্টর জমির গাজর কর্তন করা হয়েছে। মোট উৎপাদন হয়েছে ৪২১২ মেট্রিক টন। যার গড় ফলন ২৬ মেট্রিক টন/হেক্টর। বাজার দর ভালো থাকায় জেলার কৃষকরা গাজর চাষাবাদে ঝুঁকছেন। সে কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছব বগুড়ায় গাজর চাষাবাদ ও উৎপাদন বেড়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল