পদ্মাসেতু নির্মানে কিছু অজানা ইতিহাস জানালেন জামিলুর রেজা
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০
বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশেবাসীর স্বপ্নের পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এরইমধ্যে এ সেতুর অর্ধেক দৃশ্যমান হয়েছে। স্বপ্নের এ সেতুর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের।
নদীর তলদেশের উপযুক্ত মাটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তলদেশে স্বাভাবিক যে মাটি পাওয়ার কথা, সেটি মেলেনি। সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হলে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ জন্য গতবছর আটকে যায় ২২টি পিলারের কাজ।
তবে এই বাধা বিচক্ষণতার সঙ্গে দুর করেছেন প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা। তারা একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করে নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটিকে শক্তিশালী করে পিলার নির্মাণ করেছেন। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই বিরল পদ্ধতিতেই বসানো হয়ছে পদ্মাসেতুর অনেক পিলার, যার ওপর বসেছে সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি।
‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’য়ের মতো বিরল পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মাসেতুর কাজ, সে বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন পদ্মাসেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রধান অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
তিনি জানান, এরকম পদ্ধতি ব্যবহারের দৃষ্টান্ত বিশ্বে খুব একটা নেই। এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইলের সঙ্গে স্টিলের পাইপের ছিদ্র দিয়ে কেমিক্যাল নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এরপর ওই মাটিতে নির্মাণ করা হয়েছে পিলার।
জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেতুর পাইল ড্রাইভিং নিয়ে। সেতু নির্মাণের আগে নদীর তলদেশের মাটি সম্পর্কে যে ধারণা করা হয়েছিল, কাজ শুরুর পর সেই ধারণা বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর নকশা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে গিয়ে নদীর প্রধান চ্যানেলে কয়েক জায়গায় ভিন্ন ধরনের মাটি পাওয়া যায়। যা পিলার নির্মাণের উপযোগী নয়। এধরনের মাটিতে পিলার নির্মাণ করলে ভেঙে বা দেবে যেতে পারে। এমন অবস্থায় কাজ করার জন্য দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, পাইল নিয়ে যেতে হবে আরো ১৩৩ মিটার গভীরে। আর দ্বিতীয়ত, গভীরতা কমিয়ে পাইলের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে।
জামিলুর রেজা বলেন, প্রথম পদ্ধতিটি সম্ভব ছিল না। কারণ বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তির হ্যামার দিয়ে পদ্মাসেতুতে পাইল ড্রাইভিং করা হচ্ছে। যা দিয়ে আরো ১৩৩ মিটার গভীরে যাওয়া সম্ভব নয়। আরো ১৩০ মিটার গভীরে পাইল নিয়ে যেতে হলে নতুন আরেকটি হ্যামার আনতে হবে এবং সে ধরনের হ্যামার জার্মানিতে তৈরি করে আনতে এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজে বিলম্ব হতো।
এমন পরিস্থিতিতে পদ্মাসেতুর পিলার বসাতে পাইলিংয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। মাটির এই স্তরে পাইলের সংখ্যা বাড়িয়ে ছয়টি থেকে সাতটি করা হলো। মাঝখানে ভার্টিকাল আরেকটি পাইল বসানোর সিদ্ধান্ত নেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরেও এই স্তরে দেখা গেল মাটি দুর্বল। এ পরিস্থিতিতে পাইল সংখ্যাও আর বাড়ানোর সুযোগ ছিল না। তাই ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে তারপর পাইল ড্রাইভিং করা হয়। পাইল ড্রাইভিংয়ের সময় তার পাশে কয়েকটি স্টিলের চ্যানেল দিয়ে বিশেষ কেমিক্যাল সরবরাহ করা হয়, যা আশপাশের মাটিকে শক্তিশালী করে। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতি ব্যবহারের পর আমরা সন্তুষ্ট হয়। ট্রেন বা যানবাহনের চাপ বেশি হলে অথবা ভুমিকম্প হলে সেতুর আর সমস্যা হবে না।
এছাড়া নানা চ্যলেঞ্জ মোকাবিলা করে এই মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান জামিলুর রেজা। তিনি বলেন, সেতুর নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে রিভার ট্রেনিং করতে হয়েছে। সেজন্য বেশি সময় লেগেছে। নদী শাসন করতে লাখ লাখ টন পাথর (জিও ব্যাগ) ফেলা হয়েছে। এটাও অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ প্রক্রিয়ায় পদ্মাসেতুর মোট ১১টি খুঁটি গড়ে তোলা হচ্ছে। ৩২ নম্বর খুঁটিও রয়েছে এর মধ্যে। এই ৩২ নম্বর খুঁটি ও এর পাশের ৩৩ নম্বর খুঁটির ওপরই গত মঙ্গলবার বসানো হয়েছে সেতুর ২১তম স্প্যান।
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- শেরেবাংলার মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
- ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
- দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্ববান
- ফ্লোরিডায় কনসাল জেনারেল হলেন সেহেলী সাবরীন
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা
- দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল টাঙ্গাইলের ২০ একর শালবন
- দুই মাস পর দেশে ফিরল সুলেমানের মরদেহ
- গোসল করতে নেমে বাকপ্রতিবন্ধী যুবক ফিরলেন লাশ হয়ে
- ট্রেনে কাটায় মৃত্যু, মাথা ব্রিজের নিচে, ওপরে মরদেহ
- প্রথমবারের মতো খুলনা দেখল ‘ক্যাট শো’
- কিশোরগ্যাং "SWAG 47" এর ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
- এদেশে আর ভোট চুরি হবে না: ইসি আহসান হাবিব
- শাহ আমানতে ৯০ হাজার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী গ্রেফতার
- চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বরকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা
- ৭ বিয়ে করা স্বামীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি, পালিয়ে বাঁচলেন আনসার সদস্য
- চুয়াডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে ৫ পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই
- টাঙ্গাইলে তীব্র দাবদাহে ‘সিল্কসিটি ট্রেনে’ আগুন
- তীব্র দাবদাহ, পথচারীদের জন্য বিনামূল্যে পানির বুথ স্থাপন
- রাস্তার আইল্যান্ডে নবজাতকের মরদেহ
- অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা কারাগারে
- ট্রেনের এসি বগিতেও ঘামছে মানুষ, দায়িত্বরতরা বলছেন ‘বাতাস কম’
- দাবদাহে অকেজো ৩৩ হাজার নলকূপ, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
- পুকুরে মিলল দেশীয় প্রজাতির আড়াই কেজির তেলাপিয়া
- তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে করিমগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে জব করার সুযোগ
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষর
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল টাঙ্গাইলের ২০ একর শালবন
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার