• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

নাসিরনগরে মক্তবের হুজুর র্কতৃক ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ রোজ শনিবার সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার সময় মক্তবের হুজুর দ্বারা এক ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার শিকার হয়েছে।ওই ঘটনায় ছাত্রীর পিতা মোঃ জামাল মিয়া বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে  মক্তবের হুজুর মাওলানা তাজুল ইসলাম (৫০)কে আসামী করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করেছে যাহার মামলা নং- ১৪৯।

 

মামলা সুত্রে জানা গেছে,বাদীর মেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী।সে প্রতিদিন সকালে ওই হুজুরের কাছে কুরআন শিক্ষা করে।ভিকটিম জানায় সে অন্যান্য দিনের মত ্ওই দিনও  কুরআন শিখতে মক্তবে যায়।মক্তব ছুটির হয়ে গেলে হুজুর ভিকটিমকে তার রুমটি পরিস্কার করে দিয়ে যেতে বলে।এ সময় ভিকটিম রুম পরিস্কার করতে ভেতরে গেলে হুজুর ঘরে প্রবেশ করে তার পড়নের কাপড় খুলে শরীরের স্পর্ষকাতর স্থান সহ বিভিন্ন জায়গা হাতাতে শুরু করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ।এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে পাশে থাকা অন্য একটি মেয়ে তা দেখে দৌড়ে গিয়ে ভিকটিমের পিতা জামাল মিয়া ও তার স্ত্রীকে জানালে,তাদের আসতে দেখে মাওলানা তাজুল ইসলাম দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানায় ভিকটিমের পিতা মাতা।পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রামে বেশ কয়েকটি শালীস বৈঠক বসে।গ্রাম্য শালীসে শেষ না হওয়ায় অবশেষে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা করে ভিকটিমের পিতা মোঃ জামাল মিয়া।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে।

 

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা তাজুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন,আমি দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে ধরমন্ডলে চাকুরী করে আসছি।আমি যখন এ মক্তবে আসি, তখন এটি একটি খুড়েঁর ঘর ছিল।বর্তমানে এখানে দুটি বিল্ডিং তেরী করে মসজিদ ও মক্তবের কাজ চলছে।সামনে আরো একটি বাউন্ডারী নির্মান হচ্ছে।আমি ১৯ বার হজ্ব করেছি।আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষানি¦ত হয়ে একটি মহল আমার বিরোদ্বাচারণ করছে। ঘটনাটি সর্ম্পুন মিথ্যা,বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মুলক বলে দাবী করেন তিনি।

সরে জমিন এলাকায় গেলে,ছাত্রীর দাদা মোঃ খেলু মিয়া,বাবা জামাল মিয়া,সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,ইউ পি সদস্য মোঃ এরশাদ আলী,মোঃ জজ মিয়া,মোঃ আবদুল হামিদ,টিপু মিয়া,মোঃ উম্মেদ খাঁ,মোঃ ছেলাম মিয়া,মোঃ কামরুল ইসলাম রেজবি, মোঃ মিনু মিয়া,সর্দার মোঃ বাহার উদ্দিন সহ আরো অনেকেই  জানায়,মাওলানা তাজুল ইসলামের এ রকম  আরো ঘটনা রয়েছে। তারা বলেন যার একবার হজ্ব করার ক্ষমতা নেই, সে কিভাবে ১৯ বার হজ্ব ও ওমরা করে।তাদের মতে মাওলানা তাজুল ইসলাম একজন হজ্বের দালাল।তারা ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় মাওলানা তাজুল ইলামের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেন। 

 

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুারো ইনভেষ্টিগেশনের এস.আই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল