• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

জিকে শামিমের পার্টনার ছিলেন রোজিনার স্বামী (ফোনালাপ ফাঁস)

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২১  

গণপূর্ত ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমের (জিকে শামীম) ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু। বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর মাধ্যমে বিশাল টেন্ডার হাতিয়ে নিয়ে মনিরুল ইসলাম মিঠু তার ব্যাবসায়িক অংশীদার গোলাম কিবরিয়া শামীমের (জিকে শামীম) মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়েছেন। এদিকে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে তারই সহকর্মী প্রথম আলোর আরেক সাংবাদিক সাবিহা আলম ও তার বাবার মধ্যকার একটি ফোনআলাপে।

যে ফোনালাপটিতে সাবিহা তার বাবাকে জানান, রোজিনা নিজেই একজন দুর্নীতিবাজ। বিভিন্ন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কাজ নিয়েছেন তিনি ও তার স্বামী। উঠে এসেছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেমন- স্বাস্থ্যের আগের এক সচিব থাকার সময় রোজিনা আর তার স্বামী ৩টা কাজ পেয়েছিলো।

এছাড়া আরও জানা গেছে চুরির অভ্যাস রোজিনার অনেক আগে থেকেই আছে। একইসাথে প্রচন্ড মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে রোজিনার। পাশাপাশি তিনি বেশ অকৃতজ্ঞও। যে সাংবাদিকরা আজ তার মুক্তির জন্য রাস্তায় আন্দোলন করছে, কাল বেরিয়ে এলে সেটা ভুলে যাবে রোজিনা। উল্টো বলবে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ লোকজনের সাথে তার সম্পর্কের কারণে তিনি ছাড়া পেয়েছেন।

সাবিহা আলম তার বাবাকে আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভুল করেছে। ফাইল চুরি করার সময় রোজিনাকে না ধরে তাকে ছেড়ে দিলেও তাকে সাজাটা পেতে হতো। কারণ এখন তো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া দুর্নীতির প্রতিবেদন করার জন্য তারা রোজিনাকে ফাঁদে ফেলেছে এটাই প্রমাণ হবে।

সাবিহার বাবা প্রশ্ন করেন, মতি ভাই (প্রথম আলোর সম্পাদক) কী করছে? সাবিহা জবাব দেন, মতি ভাই তার সব হ্যান্ডসকে কাজে লাগিয়েছেন। তবে পুলিশ চায়নি মামলা করতে। পুলিশ এতটা বাড়াবাড়ি করতে চায়নি। সাবিহা আরও উল্লেখ করেন, এই ঘটনা রোজিনার সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারের মুকুটে একটি উজ্জ্বল পালক হিসেবে যুক্ত হলো। যদিও এই মুকুট অপর সাংবাদিকদের বিপদে ফেলে দিয়েছে।

কারণ, এতে করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা তাদের ব্যাগে নানাবিধ ডিভাইস বা তথ্য সংগ্রহের উপকরণ বয়ে বেড়াতে পারবেন না, রাষ্ট্রের সুরক্ষিত কোনো এলাকায় প্রবেশ করতে গেলে আগের মত ছাড় পাবেন না সাংবাদিকরা।

সাবিহা আরও উল্লেখ করেন, আগের সচিব মান্নান এবং অপর এক সচিব থাকা অবস্থায় রোজিনা ও তার স্বামী দুজনই ৩টা বড় কাজ পেয়েছেন। যদিও এখন রোজিনার ঢাল হিসেবে ব্যবহার হবে ওর আগের অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো। সবাই ভাববে ওর ওই রিপোর্টগুলোর কারণেই তাকে এমন অবস্থায় পড়তে হয়েছে। কালকের ওই ঘটনা সত্যিকার অর্থে ওকে ফাঁদ পেতে ধরা হয়েছে।

রোজিনার সহকর্মী বলেন, ও তো প্রচন্ড মিথ্যা কথা বলে, তাই ঘটনা আসলে কী ঘটেছে, সেটা হয়ত জানা অসম্ভব। তাছাড়া যে সাংবাদিকরা ওর জন্য এত আন্দোলন করছে, সবই ভুলে যাবে সে।

এসব ছাড়াও আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে এই ফোনালাপে, সেসব বিস্তারিত:

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল