• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

করোনাকালে নেতাকর্মীদেরও ভুলে গেছে সিলেট বিএনপি!

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২০  

মহামারির আকার নিয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের দু:সময়ে নেতাকর্মীদেরও ভুলে গেছে সিলেট বিএনপি। করোনা ভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে সিলেটের শীর্ষ নেতাদের সন্ধান পায়নি কর্মীরা। এমনকি তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মোবাইলেও একবার খোঁজখবর নেননি জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এমনকি ৩০ অক্টোবর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী নিয়েও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

 

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার যুদ্ধে অসহায় ও দুস্থ মানুষসহ দলীয় কর্মীদের পাশে পাওয়া যায়নি সিলেট বিএনপির নেতাদের। করোনা মোকাবিলায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর খেটে খাওয়া মানুষ যখন ঘরবন্দি হয়ে অর্থ ও খাদ্য অভাবে পড়েছে তখনও দেখা মিলছে না বিএনপির নেতাদের। এমনকি উপজেলা পর্যায়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথেও যোগাযোগ নেই তাদের।

 

উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী জানান, করোনা সংক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত জেলার কোনো নেতা খোঁজখবর নেননি। আমরা নিজ উদ্যোগে সাধ্যমত অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। দলের সহযোগিতা পেলে মানুষকে আরো সহযোগিতা করা যেত।

 

তারা আরো জানান, আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না দলের অবস্থা কি। জেলার নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। যদিও লকডাউন ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে কোথাও জমায়েত হওয়ার সুযোগ ছিলো না। তবুও দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে জেলা থেকে নির্দেশনা দেয়া উচিত ছিল।

 

একই অবস্থা মহানগর পর্যায়েও। দায়িত্বশীল নেতারা ‘কারফিউ’ ঘোষণা করে নিজেরা নিরাপদে অবস্থান করছেন বাসায়। আর তাদের দিকে চেয়ে আছে সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। জাতির এই দুর্যোগে ত্রাণ না দিয়ে ঈদ উপহার দিচ্ছেন অনেকে। এতে ক্ষোভ বাড়ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।

 

জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ জানান, আমাদের উপজেলায় আমরা নিজেরা ও কিছু বিত্তবানদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে অসহায় দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করেছি। দলের পক্ষ থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। তিনি বলেন, জেলা নেতৃবৃন্দকে আমি বলেছিলাম কিছু সহযোগিতা করলে আমাদের নেতাকর্মীদের সহায়তা দেয়া যাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাইনি।

 

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান জানান, দলের পক্ষ থেকে আমাদের উপজেলায় কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। আমরা নিজ উদ্যোগে প্রায় ৫০০ পরিবারকে সহযোগিতা করেছি। তাছাড়া আমরা আমাদের উপজেলা কর্মীদের খোঁজ খবর রাখছি।

 

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, করোনায় সিলেট নগরের সাধারণ মানুষকে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছি। লকডাউনের সময় প্রথমে আমরা মহনগর বিএনপির সকল সহ সভাপতিসহ দায়িত্বশীলরা একটি ফান্ড তৈরি করে সেখান থেকে ত্রাণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে সেটা না করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলেই ত্রাণ বিতরণ করেছি।

 

ত্রাণ পাওয়া থেকে দলীয় কর্মীরা বঞ্চিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে আমরা ত্রাণ দেইনি। আমরা সাধারণ মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এজন্য হয়তো দলের অনেক অসহায় নেতাকর্মী ত্রাণ পাননি। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল