• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

উল্লাপাড়ায় কলেজ গ্রন্থাগারিককে ফাঁসাতে চেক জালিয়াতির অভিযোগ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

চেক জালিয়াতি করে উল্লাপাড়ায় মিজানুর রহমান নামের এক কলেজ গ্রন্থাগারিককে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিজানুর রহমান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাশ্ববর্তী পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরত। মিজানুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মচারী নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ও অসৎ উদ্দেশ্যে মিজানুরের ব্যক্তিগত ব্যাংক চেক ব্যবহার করে ৯০ লাখ টাকার অংক বসিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ দাবি করায় বুধবার সিরাজগঞ্জ আদালতে চেক জালিয়াতের মামলা দিয়েছেন মিজানুর।

 

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি তার গ্রামের বাড়িতে নিজের জমি এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকজন স্বজনের জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ নিয়ে একটি বড় দিঘী খনন করেন এবং এতে মাছ চাষও শুরু করেন। এই দিঘীর মাছের খাবারের জন্য তিনি নারিশ ফিড নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে ডিলারশীপ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। তার চাকুরির পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ও উন্নয়নের জন্য তিনি পাঠাগার বিজ্ঞান বিষয়ের উপরে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি গ্রহনের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এসময় তার ব্যবসা দেখাশোনার করতে তিনি তাড়াশ এলাকার ভরগ্রামের হেলাল উদ্দিন, একই এলাকার পংরৌহালি গ্রামের রেজাউল করিম এবং উল্লাপাড়ার বয়ড়া গ্রামের আব্দুস সালামকে কর্মচারী হিসেবে মৌখিক নিয়োগ দেন। মাস্টার্স ডিগ্রি গ্রহণ করে নিজ ব্যবসায়িক কর্মস্থলে ফিরে আসার পর কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবয়াসীক হিসাব নিকাশে বসলে মোটা অঙ্কের টাকা বুঝে দিতে পারেনি তারা। এদিকে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনার স্বার্থে মিজানুর রহমান রাজশাহীতে যাওয়ার আগে বিশ্বাস করে ওই কর্মচারীদের হাতে ১০ পাতার একটি চেক বইতে স্বাক্ষর করে ফাকা অবস্থায় তুলে দিয়ে যান। উল্লিখিত কর্মচারীরা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া মোটা অঙ্কের টাকার হিসাব দিতে না পারায় নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে মিজানুর রহমানের ফাঁকা চেকের পাতায় ৯০ লাখ টাকার অঙ্ক বসিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়ে চেকটি ডিজঅনার্ন্ড দেখান এবং কৌশলে এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানকে বিপদগ্রস্থ করতে চেক জালিয়াতির অভিযোগ এনে কথিত কর্মচারীদের পক্ষে আব্দুস সালাম বাদি হয়ে একটি উকিল নোটিশ পাঠান।

 

 মিজানুর রহমান আরো জানান, নিরুপায় হয়ে তিনি তার অসৎ কর্মচারীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে এবং হীন স্বার্থ চরিতার্থ প্রতিরোধে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে বিচারিক হাকিম জনাব মল্লিকা বশাকের আমলী আদালতে (উল্লাপাাড়) কথিত তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি প্রতরণার মামলা দায়ের করেছেন। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতোমধ্যেই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) দায়িত্ব দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে বিবাদী আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মিজানুর রহমানের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক হিসাব নিকাশ নিয়ে গোলযোগ চলছে। এই প্রেক্ষাপটে তারা মিজানুর রহমানকে উকিল নোটিশ প্রদান করেছেন।

 

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের পিআইবি প্রধান পুলিশ সুপার রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আদালতের মামলার নির্দেশনার আলোকে তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল