• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রৌমারীতে ধীরগতিতে কাজ করায় দূর্ভোগের শিকার জনসাধরণ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৩  

ঠিকাদারের গাফলতি ও ধীরগতিতে নির্মাণ কাজ করায় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রৌমারী ও রাজিবপুরবাসি। দূর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। 

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জামালপুর ধানুয়া কামালপুর কদমতলী রৌমারী দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার রাস্তাটি ৩’শ ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্যাকেজে সড়ক উন্নয়নের নির্মান কাজ চলছে। এরমধ্যে ২ ল্যান ও বিভিন্ন বাজার স্থান গুলিতে মধ্যস্থ্য স্থান থেকে দু’ পাশে ৮’শ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪৮ মিটার প্রস্থ্য করে সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। রাস্তটি মহাসড়কের ন্যায় প্রসস্ত বৃদ্ধি করণ, গাইড ওয়াল, ব্রীজ কালভার্ট, ¯øুইজগেট নির্মাণ ও কার্পেটিং এর কাজ চলছে। পাশাপাশি সড়কের শোভাবর্ধনের কাজও করা হবে। নির্মাণ কাজটি দীর্ঘ ৪ বছর অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ইতোমধ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিজ বাড়িতে আসা মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের নির্মান কাজে রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর শেষ সীমানা হতে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ১’শ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ অংশে নির্মাণ কাজটি পায় ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম ও রানা বির্ল্ডাস। এ দুটি উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের ঢাকাসহ  বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ঢাকা গামি দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, কাভার্ডভেন ও স্থানীয় সিএনজি, অটো-বাইক, রিক্সা, অটোভেনসহ অগণিত যানবাহন যাতায়াত করে। এ কারনে দিনে রাতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দক্ষিণবঙ্গের ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ দেশের সব জেলায় অতিসহজে যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনাও অনেকটা কমে যাবে। অপর দিকে ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের সাথে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বানিজ্য উন্নতি হবে। 
ট্রাক ড্রাইভার আলতাফ হোসেন বলেন, চর নতুনবন্দর সীমান্ত শুল্ক স্টেশন থেকে পাথর নিয়ে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কে যাতায়াতে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয় এবং সময়ও অনেক বেশি লাগে। সেই সাথে দূর্ঘটনাও ঘটছে অনেক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, বর্তমান উন্নয়নের সরকার জনগনের দূর্ভোগ কমাতে রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। কেন কাজটি শেষ হচ্ছে না তা জানিনা। তবে উক্ত নির্মাণ কাজটি দ্রæত শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। 
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মীর ইব্রাহীম বলেন, গাইডওয়াল, ২ল্যানের কার্পেটিংসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। মোটামোটি ভাবে গাইড ওয়ালসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে একদিকে পাথর খোয়া বালু মিশ্রীত ডাম্পিং ও অন্যদিকে কার্পেটিং এর কাজ চলছে। যথা সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।  
সাব ঠিকাদার হারুন অর রশিদ বলেন, সড়কটির উন্নয়ন কাজ দিনরাত দ্রæত গতিতে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কাজ যাতে টেকসই হয় সে ব্যাপারেও আমরা নজরদারিতে রয়েছি। 
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ, সড়ক উপ-বিভাগ-১ কুড়িগ্রাম মোতাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি দ্রæত চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসেই রাস্তার নির্মান কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল