• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

‘বার্গম্যান নিরপেক্ষ নন, নিজের লেখায় শ্বশুরের পক্ষে বলেন’

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২১  

নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার কথা বললেও মূলত শ্বশুর ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশ্য সফল করতেই কাজ করতেন ডেভিড বার্গম্যান। এ কারণে তিনি বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা ও শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক লেখালেখি করেছেন।

আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে এমন অভিযোগ করেছেন।

সোমবার (২৩ আগস্ট)  ফেসবুক পোস্টে তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ডেভিড বার্গম্যানের পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনোভাবেই তাকে নিরপেক্ষ বলা যায় না। তার শ্বশুর ড. কামাল হোসেন গত সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার সরাসরি প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিএনপি’র সিনিয়র নেতা এবং দলের অন্যান্য সদস্যদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে জিয়া পরিবার নির্বাচনী জোটের নেতৃত্ব তুলে দেয় একজন প্রাক্তন আওয়ামী লীগারের হাতে? কেন? কারণ তারা জানে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে বিপথে নিয়ে যেতে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ড. কামালের গত কয়েক দশকের আক্রোশই যথেষ্ট। অথচ ড. কামাল সবসময় নিজেকে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিনিধি বলে দাবি করে আসছেন।’

তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘ক্ষমতার স্বাদ পেতে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়ার ঘটনা কামাল হোসেনের পরিবারে অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০০৬ সালে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে আইনি বৈধতা দিতে ছুটে গিয়েছিলেন ড. কামাল। সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের পেছনে ঢাকার অভিজাত সমাজ ও আন্তর্জাতিক কিছু শক্তির হাত ছিল। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয় আর এর পক্ষে পত্রপত্রিকায় কথা বলতে থাকেন ড. কামাল হোসেন’।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত তন্ময় আহমেদকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠে নেত্র-নিউজ নামক এক ওয়েবসাইটের সম্পাদক তাসনিম খলিল। সম্প্রতি তাসনিম খলিল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টের কমেন্টে তন্ময় আহমেদ ‘সাবেক শিবির কর্মী’ বলে মন্তব্য করেন। এর বাইরেও একাধিক ফেসবুক পেজে তন্ময় আহমেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হন তাসনিম খলিল।

তাসনিম খলিলের পক্ষ নিয়ে তন্ময় আহমেদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডায় যুক্ত হন নেত্র নিউজের আরেক সম্পাদক ডেভিড বার্গম্যান। এসব অপপ্রচারের জবাবে তন্ময় আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন।

যদিও তন্ময় আহমেদ ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি তাসনিম খলিল বা ডেভিড বার্গম্যান। জানা যায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় আহমেদের ওপর ২০১৩ সালে নৃশংসতম এক হামলা চালায় শিবির। ওই হামলায় তন্ময় আহমেদ প্রাণে বেঁচে যান।

এসব ব্যাপারে ডেভিড বার্গম্যানের ভিন্ন উদ্দেশ্যের দিকে ইঙ্গিত করে তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা শুরুর আগে ডেভিড বার্গম্যানের প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। কিন্তু দেশের সবচেয়ে নামকরা আইনজীবীর মেয়ে-জামাই হওয়ার সুবিধা নিশ্চয়ই আছে। এই পরিচয়ের ফলে যে প্রভাব খাটানো যায়, এক্সেস পাওয়া যায় তা খুব কম বিদেশিই পেয়ে থাকেন’।

‘ফলশ্রুতিতে দেশের সেরা ইংরেজি দৈনিকগুলোতে সহজেই উচ্চপদে নিয়োগ পেলেন— কিন্তু প্রতিবারই খুব বেশিদিন টিকতে পারেননি’— বলেন তন্ময় আহমেদ।

বার্গম্যানের সাংবাদিকতা নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বিবর্জিত বলে অভিযোগ করে তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘তিনি (ডেভিড বার্গম্যান) তখন বাংলা বলতে পারতেন না এবং তার সকল তথ্যের উৎস ছিলেন ডিপ্লোম্যাটিক ককটেল পার্টিতে পরিচয় হওয়া অভিজাত বাংলাদেশিরা। এধরনের অভিজাত বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও তার শ্বশুর ড. কামালের মতো সংকীর্ণ এবং ব্যাক্তিস্বার্থপ্রনোদিত। চাকরি আজ আছে, কাল নেই এমন একটা অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন বার্গম্যান। শ্বশুরই তার হাতখরচ চালাতেন কিনা এমন প্রশ্ন উঠলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই’।

ফেসবুক পোস্টে তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ডেভিড বার্গম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি ড. কামাল হোসেন দ্বারা প্রভাবিত এবং বার্গম্যান আদতে তার শ্বশুরের লড়াইটাই লড়ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের প্রতি বার্গম্যানের ঘোরতর বিদ্বেষ এটাই প্রমাণ করে। কোন প্রতিষ্ঠান যদি ডেভিড বার্গম্যানকে বাংলাদেশ নিয়ে লিখতে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই স্বার্থগত দ্বন্দ্বটা আমলে নেওয়া সে প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত’।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল