বাসাইলে স্কুলছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফা খানম ওরফে জুঁইয়ের মৃত্যুর ঘটনার জন্য দায়ি বাঁধনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার মটরা এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনে ও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলাকাবাসীর উদ্যােগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলিফা আক্তার জুঁইয়ের দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম, স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন, মুশফিকুর রহমান, আব্দুল আওয়াল, মো. সুলতান, খন্দকার রিন্টু, আলী আজম, শাহীন দেওয়ান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্কুলে যাওয়ার পথে উত্যক্ত করার কারনে স্কুল ছাত্রী জুঁই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। এঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজনের প্ররোচনা রয়েেেছ। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দিতে হবে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ নিয়ে মহাসড়কে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, উপজেলার লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফা খানম জুঁইকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার মাঝে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কলেজ ছাত্র বাঁধন তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি উত্যক্তের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ওই বাঁধনসহ তার পরিবার এবং জুইসহ তার পরিবারকে ডেকে নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেখানে ওই ছাত্রকে শাসিয়ে দেওয়া হয়। এসময় ওই জুইকেও কটুক্তি করা হয়। এরপর বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে জুঁই। এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট জুইয়ের দাদা বাদি হয়ে ওই ছাত্রকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার, সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও তাসলিমাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে।