• বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

  • || ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

নির্বাচন প্রক্রিয়া সঠিক করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। গত ১৫ বছরে যে সকল নির্বাচন হয়েছে সেগুলো স্বচ্ছ ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই নতুন করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। 
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনআকাক্সক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে সব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে। যারা জনপ্রতিনিধি হবেন, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন যেসব রাজনৈতিক দল, তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে হবে। জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার- সকল পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে।’ 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান আরিফ বলেন, ‘সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া, জনআকাক্সক্ষা প্রকাশ করার একটি প্লাট ফরম। এখানে বহুমত থাকবে। এ ধরনের আলোচনাকে ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে দিতে হবে। উপমহাদেশে একশ’ বছরের বেশি সময় ধরে স্থানীয় সরকারের কাঠামো চালু থাকলেও এখনো আমরা একে শক্তিশালী করে তুলতে পারি নাই। আইনে অনেক কিছু থাকলেও আমরা সেসব কার্যকর করতে পারি নাই। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দৃঢ় হতে হবে।

স্থানীয় সরকারের সংস্কারের দাবিগুলো উত্থাপন করা দরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে। অন্তর্বর্তী সরকার একটি সংস্কার করলে পরবর্তীতে তারা তা অব্যাহত রাখবেন কি না সে নিশ্চয়তা নেই।’ 
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ কর্তৃত্ব, জনবল, আর্থিক সামর্থ্য ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়। বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো অত্যন্ত প্রকট। সংসদ সদস্য-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ইউএনও-এ ত্রিমুখী টানাপোড়েনে উপজেলা পরিষদ এর যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না। আইনে উল্লেখ থাকলেও হস্তান্তরিত কার্যক্রমগুলো এখনও উপজেলা পরিষদের কাছে যথাযথভাবে ন্যস্ত করা হয়নি।

জেলা পরিষদের কাজ কী, জেলার মানুষের কোন উপকারে তারা পাশে থাকেন- এ সম্পর্কে কারোরই কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পৌরসভা এলাকার উন্নয়ন কর্মকা-েও সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের পরামর্শ’ উপেক্ষা করা যায় না। সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের ‘নগর সরকার’ গঠনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম এবং এশিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম। অন্যদের উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লীড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।