• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

কালিহাতীতে মসজিদ কমিটির দ্বন্দে সমাজ বিভক্তির চেষ্টা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৩  

টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার ঘুনী জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দে সমাজ বিভক্তির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সরকারি কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর অভিযোগ আধিপত্য বিস্তারে ওই সরকারি কর্মকর্তা সমাজকে বিভক্ত করে একাংশের নেতৃত্ব দেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। মোতালেব হোসেন চুয়াডাঙ্গার জেলা রেজিস্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
জানা যায়, কালিহাতী পৌরসভার অন্তর্গত ঘুনি গ্রামের ২৬১টি পরিবার মিলে একই সমাজে অন্তর্ভূক্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী ঘুনি জামে মসজিদ একত্রে নামাজ আদায় করেন। গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই মসজিদ ও গ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ইতোপূর্বে ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ইং সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনের ভাই নজরুল ইসলাম মসজিদ কমিটি ও সমাজের নেতৃত্বে ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন কমিটি সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন আসছেন। কিন্তু এতে বাধ সাধেন অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জন করে বিপুল টাকার মালিক বনে যাওয়া ওই গ্রামের সরকারি কর্মকর্তা (জেলা রেজিষ্টার) মোতালেব হোসেন। তিনি সমাজে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত সমাজে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছেন। সম্প্রতি ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দ প্রকাশ্য রূপ নেয়। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তাদের গ্রামের মসজিদ কমিটি ও সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে কখনো কোন দ্বন্দ ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন ও তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম, নুরুল হক, রফিক, জুলহাস, করিম ও লিটন সমাজে আধিপত্য বিস্তারে সমাজ বিভক্তের চেষ্টা করছে।
কালিহাতী পৌরসভার ঘুনি গ্রামের বাসিন্দা ও চুয়াডাঙ্গার জেলা রেজিস্টার মোতালেব হোসেন জানান, তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবি। সামাজিক কোন বিষয়াদি নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাই এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল