টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে হাইব্রিড করলার চাষ বাড়ছে
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩
জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে দিন-দিন হাইব্রিড করলার চাষ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো পরিচর্যা করায় এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। এতে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সময় ও খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় করলা চাষে প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় এ অঞ্চলের করলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ঘাটাইল, মধুপুর, সখীপুর, ধনবাড়ীসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত আদা, হলুদ, লেবু, বেগুন, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করা হয়। অল্প সময়ে দ্বিগুণ ফসল পাওয়ায় কয়েক বছর যাবত এসব এলাকায় উল্লেখিত ফসলের পাশাপাশি করলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া করলার মাচায় ঝিঙা, ধন্ধুল, পটল, লাউ, সিম ইত্যাদি সবজির চাষ হওয়ায় এক খরচে একাধিক ফসল পাওয়া যায়।
করলা চাষের আড়াই মাস পর থেকে ফলন আসা শুরু করে। এক বিঘা জমি (৩৩ শতাংশ) থেকে দুই থেকে তিনদিন পর-পর ১৫ থেকে ১৮ মণ করে করলা পাওয়া যায়। প্রতি মণ করলা গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। এসব এলাকার উৎপাদিত করলা ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারগুলোতে বিক্রি করা হয়।
সূত্রমতে, গত বছর জেলায় ৬৫৫ হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ৭৬১ টন করলার আবাদ হয়েছিল। এবার ৭২০ হেক্টরের বেশি জমিতে করলার চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে আশানুরূপ।
সরেজমিনে ঘাটাইল ও সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সড়ক ও বিভিন্ন ফসলি জমির পাশে এই হাইব্রিড জাতের করলার চাষ করা হয়েছে। করলার পঁচনরোধে মাচা তৈরি করা হয়েছে। ফলন ও গাছ ভালো রাখতে নিয়মিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচ দেয়া হয়।
ঘাটাইল উপজেলার শহর গোপিনপুর আশাইরাচালা গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া জানান, আগে তিনি যে জমিতে কলা, বেগুন, লেবু সহ অন্যান্য ফসল চাষ করতেন- সেই ৪৫ শতাংশ জমিতে এবার করলার চাষ করেছেন। এতে তার সব মিলে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ২-৩ দিন পর-পর জমি থেকে ২০ থেকে ২৫ মন করলা ওঠানো যায়। প্রতি মণ করলা দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারছেন। এতে তিনি সব মিলে প্রায় চার লাখ টাকার করলা বিক্রি করতে পারবেন। অতি অল্প সময়ে ভালো ফলন পাওয়ায় এই করলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া পরবর্তীতে করলার মাচায় লাউ ও সিমের চাষ করা যায়। এতে মাচার জন্য আলাদা খরচ করতে হয় না।
একই গ্রামের রবি খান জানান, তার ৩০ শতাংশ জমিতে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে করলার চাহিদা বেশি, তাই দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলনের ধারা অব্যাহত রাখতে পোকা-মাকড় দমনে সপ্তাহে প্রায় আড়াই হাজার টাকা ওষুধ (কীটনাশক) দিতে হয়। এছাড়া গাছ ও ফলনের গুণগত মান ভালো রাখতে ২ হাজার টাকার মতো ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ সার দেওয়া হয়। এই করলায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম ও লাভ বেশি হয়।
কৃষক মেছের আলী জানান, তার ৫০ শতাংশ জমিতে করলার চাষ করার আড়াই মাস পর থেকে ফলন আসতে শুরু করেছে। চারার বয়স তিন থেকে সাড়ে তিন মাসে ফলন পুরোদমে আসে। আরও প্রায় দুই মাস করলা তুলতে পারবেন। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়তি লাভ হচ্ছে। স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের পাইকাররা এসব করলা কিনে পিকআপ ও ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন।
পাইকারী ব্যবসায়ী আকতার আলী ও বিল্লাল হোসেন জানান, এসব করলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে করলা কেনা যায়। এসব করলা ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে তারা বিক্রি করেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার জানান, জেলার পাহাড়ি ও চরাঞ্চল উভয় এলাকার মাটিতেই করলার চাষ করা যায়। করলা চাষীদের স্ব-স্ব উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে সব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ফসল উৎপাদনে যে কোন সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন।
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- আগ্রাসন, যুদ্ধকে না বলুন
- কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে গরু আনার চিন্তা
- উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে
- যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ‘বাংলাদেশের দিকে তাকালে লজ্জিত হই’
- রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি
- কারিগরি শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ১২০০ মেগাওয়াট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর
- ৪ পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, মিলেছে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ
- স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত: প্রধানমন্ত্রী
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- ঈদুল আজহা: ঢাকার দুই সিটিতে বসছে ২০ পশুর হাট
- বৃষ্টি চেয়ে রাজধানীতে হাজারো মুসল্লির দোয়া
- তাপ কমাতে দৈনিক ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- বগুড়ায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
- লালমোহনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন
- কুমিল্লায় পানিতে ডুবে মারা গেল ৪ শিশু
- টেকনাফে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
- মিতু হত্যা: শেষ হলো ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে
- মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- ভেন্ডিং মেশিনে পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট, আর নয় টিকিটের লাইন
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- রেলসেতুতে যুক্ত হলো যমুনার দুই পার
- এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে