• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

বস্তিবাসীর দেহে করোনার অ্যান্টিবডি বেশি: গবেষণা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২২  

বস্তি সংলগ্ন এলাকার চেয়ে বস্তিতে বসবাস করা বেশিরভাগ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে। হেলথ ওয়াচ বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) এ খবর জানা যায়।
গবেষণায় বলা হয়, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি ও বস্তিসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে ঢাকার চারটি (কড়াইল, মিরপুর, ধলপুর ও এরশাদ নগর) এবং চট্টগ্রামের দুটি (শহীদ লেন এবং আকবর শাহ কাটা পাহাড়) বস্তি জিরিপের জন্য বেছে নেন গবেষকরা। ঠিক একই সময়ে দুই শহরের বস্তি ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় চালানাে হয়েছিল জরিপ। দৈবচয়নের ভিত্তিতে জরিপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। অর্থাৎ বাড়ি বাছাই কিংবা মানুষ বাছাই সব ক্ষেত্রে এই দৈবচয়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে যেসব ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বছর কিংবা তার বেশি।

গবেষণায় উঠে আসে, সামগ্রিকভাবে বস্তি সংলগ্ন এলাকার (৬২.২%) তুলনায় বস্তিতে বেশি সংখ্যক মানুষের (৭১.০%) এবং চট্টগ্রামের (৫৪.২%) তুলনায় ঢাকার (৭২.৯%) বেশি সংখ্যক মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এসব মানুষের জীবনমান একেবারেই নিম্ন। এই জরিপে যারা অংশ নিয়েছে তাদের ৩৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে চলমান অথবা পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্যে করােনার মতাে উপসর্গ ছিল। এদের মধ্যে জ্বর, শুষ্ক কাশি, গলা ব্যথা অথবা একই সঙ্গে করোনার তিনটি উপসর্গই উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে উপসর্গহীন মানুষের তুলনায় করোনার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি ছিল। এছাড়া, শারীরিক গঠনের তুলনায় ওজন বেশি এমন মানুষের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত হাত ধুয়ে থাকেন, মুখে কিংবা নাকে হাত দেন না, বিসিজি টিকা নিয়েছেন এবং মধ্যমানের কায়িক পরিশ্রম করেন এমন ব্যক্তিদের সার্স কভ-২ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম ছিল। পাশাপাশি যারা এর আগে রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) অথবা হিউম্যান করােনাভাইরাস (এইচকভ-এইচকেইউ-১) আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কম ঝুঁকিতে ছিল।

অন্যদিকে যারা ডেঙ্গু অথবা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি ছিল। যারা করােনায় আক্রান্ত হননি, তাদের তুলনায় যারা এতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের রক্তে জিঙ্কের মাত্রা যথাযথ পরিমাণে ছিল।

গবেষণায় যে সুপারিশ করা হয়েছে
১. সংক্রমণের মাত্রা বুঝতে অ্যান্টিবডি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
২. মহামারি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঘাটতি কমিয়ে আনতে হবে।
৩. বস্তিবাসীর কারাও মধ্যে করােনার উপসর্গ দেখা দিলো কিনা সেটি জানার পদক্ষেপ বাড়াতে হবে।
৪. করােনার উপসর্গ নিয়ে পক্ষপাতমূলক তথ্য সরবাহ বন্ধ করতে হবে।
৫. বিভিন্ন জনগােষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
৬. দেশে গ্রাম ও শহর অঞ্চল লক্ষ্য করে আরও জরিপ, কঠোর নজরদারি চালাতে হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল