• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

থানায় আটক রেখে দেড় কোটি টাকার চেক লিখে নিলেন ওসি!

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

হোটেল ব্যবসায়ীকে থানায় আটক করে রেখে দেড় কোটি টাকার চেক লিখে নিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন। এ অভিযোগে ওসিকে প্রধান আসামি করে দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। 

 

রোববার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর সদর হাসপাতাল রোড এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মো. মহি উদ্দিন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। 

 

এ মামলার অপর আসামি হলেন নগরীর মনোহরপুর ঊজির দীঘির পাড় এলাকার রতন মিয়ার ছেলে মেসার্স এম আলমের মালিক মো. মাহাবুব আলম। সে বাদীর চাচাতো ভাই। 

 

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক জালাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার অ্যাডিশনাল এসপিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাহমুদ। 

 

বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষকে গ্যারান্টার দেখিয়ে বাদী মহিউদ্দিনের জমি বন্ধক রেখে মাহাবুব আলম ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। সময় মতো ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ আদালতে মাহাবুবের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক। ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর থেকে আসামি মাহাবুব বাদীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে ব্যাংকের আদেশ ছাড়া কোনো টাকা দেবেন না জানান মহিউদ্দিন। পরবর্তীতে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন এবং আসামি মাহাবুব আলম যোগসাজশে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে চলতি বছরের ৩ আগষ্ট রাত ১০টার সময় ৩-৪ জন পুলিশ সদস্য এবং মাহাবুব নগরীর হোটেল সালাউদ্দিনের ক্যাশে বসা অবস্থা থেকে মহিউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। 

 

থানায় নিয়ে মো. সালাহউদ্দিন বাদীকে তার রুমে আটক রাখে। বাড়ি থেকে চেক বই নেয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেয় ওসি সালাউদ্দিন ও মাহাবুব। চেক বই না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া হবে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে বাদী বাড়ি থেকে ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে থানায় চেক বই নেয়ার পর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক লিখে দিতে চাপ দেয়। হুমকির মুখে পড়ে একটি চেকে ১কোটি ৫০ লাখ টাকা লিখতে বাধ্য হয় বাদী। এরপর ওসি সালাউদ্দিন চেকটি গ্রহণ করেন। 

 

বাদী মহিউদ্দিন বলেন, থানায় তুলে নিয়ে দেড়কোটি টাকার চেক লিখে দিতে ওসি সালাউদ্দিন আমাকে হুমকি, মিথ্যা মামলার ভয় এবং নানা চাপ প্রয়োগ করেছেন। আইন অনুসারে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা তা করতে পারে না। ঘটনার পর এসপির কাছে আমি অভিযোগ করে আদালতে মামলা করেছি। 

 

ওসি মো. সালাহউদ্দিন বলেন, চেকের সমস্যা বাদীর চাচাতো ভাই মাহাবুবের সঙ্গে। এখানে আমি জড়িত নয়। মামলার বিষয়ে এখনো আমি আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র পাইনি। 

 

মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাবুব আলমের মোবাইলে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। 

 

গত ২৮ নভেম্বর ওসি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী কুমিল্লার আদালতে নারী নির্যাতন ও পরকীয়ায় আসক্ত অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল