দেশ ছাড়িয়ে বাইরে চাটগাঁর ‘বেলা বিস্কুট’
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবারগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘বেলা বিস্কুট’। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের সঙ্গে বেলা বিস্কুট না হলে যেন চলেই না চাটগাঁবাসীর। আবার বিকেলের আড্ডায়ও সঙ্গী বেলা বিস্কুট। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও উপমহাদেশের প্রথম এ বিস্কুটের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছেছে বিশ্বেও।
চাটগাঁর ঐতিহ্যবাহী বেলা বিস্কুট রফতানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এছাড়া অনেক প্রবাসী দেশ থেকে ফিরে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যান এ বিস্কুট।
ব্রিটিশ আমলেও তৎকালীন চট্টগ্রাম পৌরসভার মানুষের প্রিয় খাবার ছিল বেলা বিস্কুট। গরম গরম চায়ে বেলা বিস্কুট ডুবিয়ে সকাল-বিকেল নাস্তা সেরে নিতেন তখনকার পৌরসভার মানুষেরা। পরে ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে-গঞ্জে।
বাংলা একাডেমির সহ-পরিচালক আহমদ মমতাজের মতে, মুঘল ও পর্তুগিজদের খাদ্যাভ্যাসে ছিল রুটি, পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানা বেকারি পণ্য। তাদের এ খাদ্যাভ্যাসের ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেকারিশিল্পের যাত্রা শুরু হয় প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে।
শুরুর দিকে বেকারিতে রুটি তৈরি হলেও পরবর্তীতে তৈরি হতো পাউরুটি, কেক, বেলা বিস্কুট। তখন থেকেই বেকারি পণ্যে অভ্যস্ত হতে থাকে চট্টগ্রামের মানুষ।
চট্টগ্রামের চন্দনপুরা কলেজ রোডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বেলা বিস্কুটের দোকান ‘গণি বেকারি’। গবেষকরা ধারণা করেন, এখন থেকে দুইশ’ বছর আগে উপমহাদেশে এ বেকারিতেই প্রথম তৈরি হয়েছিল বেলা বিস্কুট। সেই থেকে এ বিস্কুটের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গণি বেকারির নাম।
গণি বেকারিতে সর্বপ্রথম কখন বেলা বিস্কুট তৈরি হয় তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে মুঘল আমলের শেষ ও ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে ভারতের বর্ধমান থেকে আসা ব্যক্তিরা চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেকারিশিল্পের সূচনা করেন বলে জানা গেছে।
কারো কারো মতে, পর্তুগিজদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম এ বিস্কুটের প্রচলন ঘটান গণি বেকারির মালিক অব্দুল গণি সওদাগর। মূলত তার নাম অনুসারেই বেকারিটির নামকরণ হয়। আর এ বেকারির খ্যাতির কারণে জায়গাটির নাম এখন গণি বেকারির মোড়।
বিভিন্ন গবেষকদের লেখায় জানা গেছে, আবদুল গণি সওদাগরের পূর্বপুরুষ ছিলেন লাল খাঁ সুবেদার ও তার ছেলে কানু খাঁ। তাদের হাত ধরেই এ অঞ্চলে বেকারি পণ্যের সূচনা হয়।
জানা যায়, পূর্বপুরুষের হাত ধরে ১৮৭৮ সালে বেকারিশিল্পে যুক্ত হয়েছিলেন অব্দুল গণি সওদাগর। ১৯৭৩ সালে তিনি মারা গেলে বেকারির হাল ধরেন তার ভাইয়ের ছেলে দানু মিঞা সওদাগর। ১৯৮৭ সালে তিনিও মারা গেলে হাল ধরেন তার ছেলে জামাল উদ্দিন। জামাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর বর্তমানে রয়েছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ এহতেশাম।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ এহতেশাম জানান, একতলা এ বেকারি ভবনটি তৈরি হয় ১৯১০ সালে। এরপর থেকে বারবার সংস্কার করা হলেও টিকিয়ে রাখা হয়েছে তিনস্তর বিশিষ্ট ছাদের মূল অবকাঠামো।
বংশপরম্পরায় ধরে রাখা এ ব্যবসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ এহতেশাম বলেন, বেলা বিস্কুট আমাদের ঐতিহ্য। সঙ্গে অন্যান্য আরো পণ্য রাখা হলেও মূলত বেলা বিস্কুটকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা ব্যবসা করছি। সেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো মাটির তন্দুর রেখে দিয়েছি। আগের রীতিতেই এখনো বেলা বিস্কুট তৈরি হচ্ছে। দামও রেখেছি হাতের নাগালে।
দেখা গেছে, অন্তত ৩০ ধরনের পণ্য এ বেকারিতে তৈরি হলেও বেশিরভাগ ক্রেতা আসেন বেলা বিস্কুট কিনতে। শো-রুমের সঙ্গেই বিস্কুট তৈরির কারখানা। কারখানায় রয়েছে দুইটি মাটির তৈরি তন্দুর। তন্দুরে বানালেই ঠিক থাকে এ বিস্কুটের আসল স্বাদ ও গুণগত মান। দুটি তন্দুরে দৈনিক ছয় থেকে আট হাজার পিস বেলা বিস্কুট তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন কারিগররা।
প্রথমে ময়দা, ডালডা, গুঁড়ো দুধ, চিনি, লবণ ও তেল মিশিয়ে তৈরি করা হয় খামি। সঙ্গে দেওয়া হয় বিশেষ ধরনের মাওয়া। এরপর মাটির তন্দুরে একদিন রাখার পর প্রথম দফায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সেঁকা হয়। দ্বিতীয় দফা সেঁকা শেষে তৈরি হয় বেলা বিস্কুট। এটি গোলাকার, আকারে বড় এবং সাধারণ বিস্কুটের চেয়ে তুলনামূলক শক্ত।
শুরু গণি বেকারির হাত ধরে হলেও বর্তমানে প্রায় সব বেকারিতেই তৈরি হয় বেলা বিস্কুট। বংশপরম্পরায় এখনকার ক্রেতাদের মাঝেও রয়ে গেছে এ বিস্কুটের চাহিদা। দীর্ঘ দুইশ’ বছরেও ভাটা পড়েনি এটির জনপ্রিয়তায়।

- মেজর জিয়ার মরণোত্তর বিচার চান ভুক্তভোগীরা
- নির্বাচন বানচালে সহিংসতা, মিথ্যাচার করছে বিএনপি-জামায়াত: জয়
- তেলের সন্ধান ॥ সিলেটে গ্যাস কূপে
- প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব না দিলে মামলা করবে ইসি
- বুদ্ধিজীবী, বিজয় দিবস বড়দিন ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা
- নিষেধাজ্ঞা দিলেও ভারত থেকে ২৬ ট্রাকে এলো ৭৪৩ টন পেঁয়াজ
- কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ ডুবি
- নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ভারত, জাপান, ওআইসি ও আরব লীগ
- মার্কিনিদের চেয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বেশি রক্ষা করে: রাষ্ট্রপতি
- দেশের যে তিন বিভাগে পুরুষের সংখ্যা দিনদিন কমছে
- ১৪ জনের মধ্যে ১০ মৃত্যু, খেজুরের কাঁচা রস পানে নিষেধাজ্ঞা
- সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর
- এলজিইডির ‘টাঙ্গাইল প্রজেক্ট’ গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করছে
- নৌকা প্রতীকে ভোট করবে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীরা
- কোভিড টিকা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরলেন মোমেন
- কাতারে ‘দোহা ফোরাম-২০২৩’-এ যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আন্দোলনের নামে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে : ডিবি প্রধান
- হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়লো
- অশুভ রাজনীতির কারণে বিএনপি-জামাত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে
- পর্বত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার অন্যতম উপাদান : রাষ্ট্রপতি
- ২০৩০ সালের জন্য নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা ৭ গুণ বাড়াতে হবে
- আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫৬ জন
- ভোটকক্ষে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে না : ইসি
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিআরইউ’র নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা
- বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড করেছে : ওবায়দুল কাদের
- ডেভেলপার কোম্পানিকে নকশা অনুযায়ী মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করতে হবে
- নীলফামারীতে তিনলাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
- ভারত থেকে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আসবে
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সচিবের শ্রদ্ধা
- ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস পালিত
- নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন কারা, জানালেন ইসি সচিব
- সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ
- অনলাইনে নির্বাচন ব্যবস্থা সহজ ও পরিশুদ্ধ হবে
- টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকার মাঝি ছোট মনির
- চোরাগোপ্তা হামলায় সরকার ফেলা যায় না
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ কাজ ৭৩ ভাগ শেষ
- বরিশাল হবে শান্তির নগরী: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
- মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর
- ‘আঞ্চলিক হাবের’ কাজ শুরু
- ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের চূড়ান্ত সময়সূচি
- বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর
- বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে বাংলাদেশ
- ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে পরিপত্র জারি ইসির
- রেমিট্যান্সের পালে বইছে সুবাতাস
- মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের ব্যাখ্যায় অধিকাংশ দেশ সন্তুষ্ট
- বুলগেরিয়ার ৫৬ হাজার টন গম নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রামে
- বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা
- পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ২৫ টাকা, ক্রেতাতের মাঝে স্বস্তি
- যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’, ঢাবির ৮২৫ শিক্ষকের বিবৃতি
