• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ধুনটে কীটনাশকের অসতর্ক প্রয়োগে স্বাস্থ্য ঝুকিতে চাষি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১  

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধান, গম-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা জমিতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক (বিষ) দিয়ে থাকেন। সঠিক পরামর্শের অভাবে নিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এখানকার কৃষকরা।

 

সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষকরা ভরদুপুরে তাদের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। কারও নাকে-মুখে কোনো কাপড় বা মাস্ক নেই। অনেক কৃষককে দেখা গেল তারা টি-শার্ট পরে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। কেউবা আবার ধানের জমিতে সারের সাথে আগাছানাশক মিশিয়ে গ্লোবস ছাড়াই হাত দিয়ে ছিটাচ্ছেন। কীটনাশকের প্যাকেট বা বোতলের গায়ে স্পষ্ট অক্ষরে 'বিষ' লেখা থাকলেও তা কেউ আমলেই নিচ্ছেন না। নিয়মনীতি না মেনেই এলাকার কৃষকরা যে যার মত করে জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন।

 

উপজেলার বিশারদিয়ার গ্রামের কৃষক হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে অপরের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। চলতি মৌসুমে জমির মালিকের কাছ থেকে এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান আবাদ করছি। চারা লাগানোর পর এ সময়টা বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করতে জমিতে কীটনাশক (বিষ) দিয়েছি।

 

উপজেলার মধুপুর গ্রামের কৃষক জাফর আলী বলেন, কীটনাশক ছিটানোর সঠিক কোন পদ্ধতি আমার জানা নেই বা কেউ পরামর্শও দেয়নি। কীটনাশক ছিটানোর সময় খুবই দুর্গন্ধ হয়। ছিটানোর পর প্রচণ্ড মাথা ঘোরে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধাও দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে থাকি।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আশরাফ আলী বলেন, কীটনাশক (বিষ) ছিটানোর সময় নিরাপদ পোশাক ব্যবহার না করলে নাক ও মুখ দিয়ে বিষ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া হতে পারে। এতে মৃত্যুর সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই জমিতে কীটনাশক ছিটানোর ক্ষেত্রে নাক-মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লোবস ব্যবহার করা জরুরি। বিষয়টি নিয়ে কৃষকের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।

 

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, কৃষকদের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে জমির উর্বরা শক্তি কমে যায়। তাই কীটনাশক ব্যবহার না করে অধিক ফসল ফলানোর জন্য জৈব পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলেও তিনি জানান।   

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল