• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ডেভিড বার্গম্যান: ভারতে দণ্ডিত, ইউরোপে সন্দেহভাজন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে দণ্ডিত হয়েছিলেন ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। এটাই বহুরূপী ডেভিড বার্গম্যানের একমাত্র অপকর্ম নয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর পক্ষে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করার জন্য ডেভিড বার্গম্যান আলোচিত সমালোচিত। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে ডেভিড বার্গম্যানকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারত সরকার। তার বিরুদ্ধে ফরেনারস এ্যাক্ট এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট মামলা হয়েছিল। ভূপালে গ্যাস দুর্ঘটনার পর ইউনাইন কারবাইড এর পক্ষে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছিল। পরে ব্রিটিশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাকে মুক্ত করে লন্ডনে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়। এই বিচার প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে ডেভিড বার্গম্যান ঢাকায় অবস্থান শুরু করেন। একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় তিনি চাকরিও নেন। মূল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। জানা যায়, যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক প্রচারণার জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের শরণাপন্ন হন। আইএসআই ব্রিটিশ নাগরিক বার্গম্যানকে এই দায়িত্ব দেন। বার্গম্যান যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ওকালতি শুরু করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হন। বাংলাদেশে ডেভিড বার্গম্যান একজন দণ্ডিত অপরাধী।

ডেভিড বার্গম্যানের অপকর্মের ইতিবৃত্তের শেষ এখানেই নয়। ২০০৭ সালে বার্গম্যান টুয়েন্টি টুয়েন্টি নামে লন্ডনের একটি টেলিভিশন প্রডাকশন হাউসে কাজ করতেন। কিন্তু তাকে নানা অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংহতি বিনষ্ট করা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত তিনটি দেশে ডেভিড বার্গম্যান সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত। এই দেশ তিনটি হলো ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালি। বার্গম্যান মূলত: একজন ভাড়াটে দালাল। যে পক্ষ তাকে পয়সা দেয় তার পক্ষেই তিনি কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে বার্গম্যান পূর্ণকালীন সময়ে তারেক জিয়ার বেতন ভুক কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। বাংলাদেশ সরকার বিরোধী নানা রকম প্রচারণা সরঞ্জাম বানানো এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এগুলোকে ছড়িয়ে দেয়াই তার প্রধান কাজ। সম্প্রতি লন্ডনে নিজেই একটি প্রোডাকশন হাউজ খুলেছেন। তবে এই প্রোডাকশন হাউজটি থেকে শুধু‘ অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ এর মতো প্রতিবেদনই তৈরি করা হয়।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল