গ্রামের ভাঙ্গা রাস্তা ও আমাদের পরস্পরকে দোষারোপের সংস্কৃতি
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২০
বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ে বিটুমিন রাস্তা নির্মানের মূল দায়িত্ব পালন করে এলজিইডি। গ্রামের এইসব সড়ক ডিজাইন করা হয় নির্দিষ্ট লোড ক্যালকুলেশন করে। এই পরিমাণ লোডের গাড়ি এই রোডে চলবে, কিন্তু এটা মানা হয়না কোথাও, যেখানে একটা ছয় চাকার ট্রাক লোড নেওয়ার কথা সর্বোচ্চ পাঁচ টন সেখানে অবৈধ ভটভটি নসিমন ১৫ থেকে ২০ টন লোড নিয়ে চলাচল করে।চাকার এই অল্প ক্ষেত্রফল দিয়ে এত বেশী লোড সড়কে পতিত হওয়ার কারনে সড়ক তার ডিজাইন অনুযায়ী টেকসই হয় না। কোথায় যেন পড়েছিলাম ইট ভাঁটা গুলো তার মাটি পরিবহনের জন্য এলজিইডির রোড ব্যবহার করতে পারবে না। অথচ খুব অদ্ভূত ভাবে সেই নসিমন ভটভটি বা মাত্রাতিরিক্ত লোড নিয়ে যাওয়া অবৈধ গাড়ির চালকও সরকারকে গালিগালাজ করে রাস্তা ভাঙ্গার জন্য, অথচ রাস্তা ভাঙ্গার মূল হোতা সে নিজেই।আপনি বেশী লোড নিয়ে চলতে গেলে বেশী চাকার গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। এবং যে রাস্তার ডিজাইন লোড কম ধরা হয়েছে সেই রাস্তায় বেশী লোডের গাড়ি নিয়ে না উঠলে রাস্তা তার ডিজাইন অনুযায়ী স্থায়িত্ব দিতে পারবে।
এরপরে দেখা যায় যে সিংহ ভাগ বাজারের মাঝে রাস্তা ভাঙ্গা। এটার দায়ভার কার?
বিটুমিন কার্পেটিং রোডের মূল শত্রু হলো পানি। এই বিটুমিন কার্পেটিং রোড পানি সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু প্রতিটা বাজারে দেখা যায় যে রাস্তার দুই ধারে উচু করে দোকান পার্ট তুলে রাখছে, সেখানে না আছে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, আর পানি নিষ্কাশনের যে প্রাকৃতিক ব্যবস্থা তা দোকানদাররা দোকান তুলে এবং দুই দোকানের ফাঁকা অংশ(যদি থাকে) উচু করে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পানি বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই। রাস্তা তখন ড্রেন হয়ে যায়, আর পানি সইতে না পারা রাস্তা অসহায় মৃত্যুবরন করে, আর এর জন্য দায়ী মানুষ গুলোই সরকারকে ইচ্ছে মত গালিগালাজ করে।
একদম সাধারণ জনগণ যারা তারাও দেখা যায় যে তার টিউবওয়েল এর পানিটা রাস্তার উপর দিয়ে গড়িয়ে অন্য পাশে যাচ্ছে, অথবা উঠোন উচু করে সুন্দর করেছেন কিন্তু উঠোন আর রাস্তার সংযোগস্থলে পানি জমে থাকছে, কয়েকদিন পরে সেখানে ভেঙ্গে গেলে উনি বলবেন যে সব দুই নম্বর কাজ করেছে।
টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যথর্তাঃ সাধারনত বন্য কবলিত অশ্চলের রাস্তা টেকসই করতে চাইলে সর্বোচ্চ বন্যা তলের চেয়ে উচু করে রাস্তা নির্মান করতে হয়। আর সেই রাস্তা রাস্তা হিসাবে ব্যবহার হবে নাকি বেড়িবাঁধ হিসাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেটা মাথায় রেখেই ডিজাইন করতে হবে। বন্য নিয়ন্ত্রণ বাধ হলে সর্বোচ্চ বন্যা তল থেকে উচু করে নির্মান করতে হবে এবং সুইচ গেট এর মাধ্যমে এরচেয়েও বেশী বড় বন্যা হলে পানি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যেন সড়কের ক্ষতি না হয়। আর শুধু সড়ক হিসাবে হলে পর্যন্ত ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে ক্রস ডেনেজ ওয়ার্কস রাখতে হবে। যেন পানি নিচে দিয়ে বাধাহীন ভাবে চলাচল করতে পারে। সড়ক উপচিয়ে রাস্তার পৃষ্ঠের কোন ক্ষতি না করে। আর যদি উচু করা সম্ভব না হয় তাহলে গুরুত্ব অনুসারে আরসিসি রোড নির্মাণ করতে হবে।
খুব অদ্ভুত ভাবেই আমাদের অশ্চলে এর কোনটার ই প্রয়োগ হয়না, বাস্তবায়নকারী সংস্থা গুলোর দায়সারা মনোভাবের কারনে।
এর পেছনে অনেক গুলো কারন আছে, যেমন বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের দূর্নীতি জড়িত এর সাথে, তেমনি সিংহভাগ এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের ঠিকাদার হওয়ার ফলে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ঠিক ভাবে তদারকি করতে ব্যর্থ হয়। অথচ হওয়ার কথা ছিলো উল্টো। যেসব সংস্থা এইসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, তাদের কাজ মনিটরিং করবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। আর ঠিকাদারের কাজের মান নিয়ন্ত্রণ করবে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ।
সমস্যা হয়ে গেছে আমরা সবাই অন্যায় করি, কিন্তু সেটা দেখি না, আমরা শুধু অন্যের অন্যায়টা দেখি জন্য আমাদের এই দেশ বদলায় না।
সাধারণ জনগণ দেখছে ইঞ্জিনিয়ার চুর, ঠিকাদার চুর, ঠিকাদারের চোখে ইঞ্জিনিয়ার ঘুষখোর। আবার একজন ইঞ্জিনিয়ার দেখছেন কিভাবে জনগণের অসচেতনতা আর অপব্যবহারের কারনে অল্প দিনেই নষ্ট হচ্ছে সড়ক।
বদলাতে হবে আমাদের, সচেতন হতে হবে। নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছায় হয়ে যাওয়া ভূল গুলো নিজে থেকে সংশোধন করলে অনেক ভালো থাকবো আমরা, ভালো থাকবে আমাদের এই দেশ।
ফেসবুক ব্যবহারকারী হাফিজুর রহমান শান্ত’র ওয়াল থেকে নেওয়া।।
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষর
- স্মরণ সভা: ডা.আলাউদ্দিন সিরাজি
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- আগ্রাসন, যুদ্ধকে না বলুন
- কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে গরু আনার চিন্তা
- উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে
- যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ‘বাংলাদেশের দিকে তাকালে লজ্জিত হই’
- রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি
- কারিগরি শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ১২০০ মেগাওয়াট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর
- ৪ পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, মিলেছে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ
- স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত: প্রধানমন্ত্রী
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- ঈদুল আজহা: ঢাকার দুই সিটিতে বসছে ২০ পশুর হাট
- বৃষ্টি চেয়ে রাজধানীতে হাজারো মুসল্লির দোয়া
- তাপ কমাতে দৈনিক ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- বগুড়ায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
- লালমোহনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন
- কুমিল্লায় পানিতে ডুবে মারা গেল ৪ শিশু
- টেকনাফে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
- মিতু হত্যা: শেষ হলো ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- ভেন্ডিং মেশিনে পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট, আর নয় টিকিটের লাইন
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার