• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

চি‌নির ঘাটতি নেই, আমদানি হচ্ছে আরো ১ লাখ টন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২  

হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চিনির বাজার। সঙ্কটের কথা ব‌লে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশজুড়ে অনেক এলাকায় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বল‌ছে, চা‌হিদার বিপরীতে দে‌শে পর্যাপ্ত চি‌নি আমদানি করা হয়েছে। ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিগগিরই আরো ১ লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে।


রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাং‌কের পাঠা‌নো ‌বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছর চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।


বাংলা‌দেশ ব্যাং‌কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। এ বছর প্রথম নয় মাসে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। যার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম বলেন, সম্প্রতি দে‌শের বাজা‌রে চি‌নির দাম বে‌ড়ে‌ছে। সঙ্ক‌টের কার‌ণে এ দাম বেড়েছে এমন কথা বলা হ‌চ্ছে। এ তথ্য স‌ঠিক নয়। ২০২১ সালে দে‌শে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখ টন চিনি আমদানি হয়েছে। শিগগিরই আরো এক লাখ টন চিনি আমদানি হবে। তাই দে‌শে পর্যাপ্ত চি‌নি আমদা‌নি হ‌য়ে‌ছে। য‌দি সং‌শ্লিষ্ট সংস্থাগু‌লো একটু বি‌শেষ তদার‌কি ক‌রে তাহ‌লে চি‌নির দাম নিয়‌ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এদিকে একই দিন এক মতবিনিময় সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে গ্যাসের সঙ্কটের প্রভাব পড়েছিল চিনির রিফাইনারিগুলোতে। এতে দেশের পাঁচটি রিফাইনারির উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি, আজ থেকে সব রিফাইনারিতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে বাজারে আগের মতোই চিনির সরবরাহ থাকবে। তবে সরবরাহ কম হলেও দাম বাড়ার কথা না, কেন বাড়ল এ নিয়ে আজ থেকে কঠোর অবস্থান থাকবে আমাদের, চিনিরও সঙ্কট থাকবে না। যার যত চিনি লাগবে সরবরাহ করা হবে।

ব্যবসায়ীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময়ে তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা ১৮ লাখ টন। সব আমদানি নির্ভর। দেশি কারখানায় মাত্র ২৪ হাজার টন উৎপাদন হয়েছে, যেটা খুবই নগণ্য। এলসির মাধ্যমে র ম্যাটেরিয়াল আসছে, এটা রিফাইন করা যাচ্ছে না। আমরা সেখানে উৎপাদন ঠিক রাখতে পারলে সমস্যা থাকবে না।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল