• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

অঘটনের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াবধে ডাচ মহাকাব্য

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৩  

অবিশ্বাস্য, অসম্ভব, অকল্পনীয়! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয়, তাও ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো আসরে। এমন এক অর্জনকে আসলে কি বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায়! বিশ্ব ক্রিকেটে ঐতিহ্য কিংবা শক্তিমত্তা কোনো দিক দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার ধারেকাছে নেই নেদারল্যান্ডস। র‍্যাংকিংয়েও আকাশ পাতাল তফাৎ। তবে এমন এক দলের কাছেই কিনা ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের লজ্জা পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
মঙ্গলবার আসরের ১৫তম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান সংগ্রহ করেছে নেদারল্যান্ডস। জবাবে  ২০৭ রানে থেমে যায় টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ডাচদের জয় ৩৮ রানে।

এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। টসের পরই ফের শুরু হয় বৃষ্টি। পরবর্তীতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হয় ৪৩ ওভারে। হালকা ভেজা পিচে বল হাতে দুর্দান্ত সূচনা পায় প্রোটিয়ারা। প্রথম ৫০ রানের ৪ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। রাবাদা-জানসেনদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে অসহায় ছিলেন ডাচ ব্যাটাররা।

১৪০ রানে ৭ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসের হাল ধরেন অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন টেইল এন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডাচ অধিনায়ক। অন্যদের মাঝে রিওলফ ভ্যান ডার মারউই ২৯, আরিয়ান দত্ত ২৩* ও তেজা নিদামানারু ২০ রান করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাদা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। প্রথম ৭ ওভারে দুজনে যোগ করেন ৩২ রান। অষ্টম ওভার থেকে ডাচদের আধিপত্যের শুরু। মাত্র ৮ রানের মাঝে চার উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ছোট দুটি জুটির পর অল্প সময়ের ব্যবধানে ফের দুটি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে রীতিমতো ছিটকে যায় তারা।

এ অবস্থায় ৩৬ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামালের চেষ্টা করেছিলেন ডেভিড মিলার ও জেরাল্ড কোয়েৎজে। তবে দুই রানের ব্যবধানে দুজনের বিদায়ের পর নেদারল্যান্ডসের জয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মিলার। এছাড়া হেনরিখ ক্লাসেন ২৮, কোয়েৎজে ২২ ও ডি কক ২০ রান করেন। শেষ উইকেট হিসেবে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করা কেশব মহারাজ আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে নেদারল্যান্ডস শিবির। ডাচদের হয়ে লোগান তিনটি এবং মিকিরিন, মারউই ও লিড প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

আজকের ম্যাচ দিয়ে প্রতিটি দল তিনটি করে ম্যাচ সম্পন্ন করেছে। স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ডও সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুইয়ে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের পয়েন্ট ৪ করে। বাকি দলগুলোর মাঝে চলছে তীব্র লড়াই। বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া প্রত্যেকেরই সামনে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে।

শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইলে লংকানদের এখন থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য ডাচদের ক্ষেত্রেও। তবে বাকি দলগুলো যেভাবে লড়ছে, তাতে এবারের আসর স্মরণকালের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর হতে যাচ্ছে, এমনটা বলাই যায়। আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কার হাতে উঠবে শিরোপা, তা জানতে অপেক্ষা আর মাত্র ১ মাসের।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল