মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ; অন্য চোখে : পংকজ কান্তি গোপ
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৩
![](https://www.ajkertangail.com/media/imgAll/2023July/11-2307281532.jpg)
সারাদিনের ক্লান্তি ভুলতে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় আমরা একত্রিত হই। চা-চু খাই। সুখ-দু:খ ভাগাভাগি করি। আলাপের বিষয় ঘুরেফিরে একই; সেই "আটপৌরে জীবনের গল্প"। কেউ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রেখে এসেছেন; কারো বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা; যারা প্রতীক্ষা করছেন কবে সন্তান টাকা পাঠাবেন। আড্ডায় অংশগ্রহণকারী আমরা প্রায় সবাই শিক্ষক।
প্রত্যেকেই উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। কেউ সুদুর উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছেন, কেউ ময়মনসিংহ থেকে আবার কেউ হয়ত দিনাজপুর থেকে। একেক জনের বাড়ি একেক জেলায় হলেও সবার দুঃখ প্রায় একই; না পাওয়ার দুঃখ।
এভাবে যে আর চলছে না। কেউ মাসে বেতন পান সাড়ে ১২ হাজার টাকা আবার কেউ ১৬ হাজার টাকা। এ টাকা থেকে ঘর ভাড়া দিতে হয়, খাবারের টাকা দিতে হয়, স্কুলে যেতে-আসতে ভাড়া লাগে। মাসিক কিছু খরচের টাকাও রাখতে হয়। কয় টাকাই আর বাকী থাকে। অথচ নিয়ম করে প্রতিমাসে বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয়। নতুবা অভুক্ত থাকতে হবে বৃদ্ধ মা-বাবা কিংবা সন্তানাদিকে।
কি অদ্ভুত জীবন আমাদের! সুন্দর পোষাক পড়তে হয়, সুন্দর করে কথা বলতে হয়। শ্রেণিকক্ষে সবসময় হাসিখুশি থাকতে হয়। অথচ পরানের গহীনে কেবলই হাহাকার, কেবলই শূন্যতা! সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার সেই পঙক্তিমালা যেন আমাদেরই জীবনালেখ্য। প্রিয়তমাসু'তে তিনি লিখেছেন- "আমি যেন সেই বাতিওয়ালা, যে সন্ধ্যায় রাজপথে- পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামর্থ্য, নিজের ঘরেই জমে থাকে দু:সহ অন্ধকার।"
আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত স্বপ্নের কথা বলি। মানবিক মানুষ হওয়ার উপদেশ দেই। আদর্শবান হওয়ার গল্প শোনাই। অথচ দু:স্বপ্ন আমাদের তাড়া করে ফিরে সবসময়।
এতো বঞ্চিত, এতো বৈষম্যের পরও কিন্তু আমরা আলো জ্বালাই, আমরা আলোকিত সমাজ গড়ি। কারণ শিক্ষার্থীদের হাসিমাখা মুখ আমাদের সকল দুঃখ ভুলিয়ে দেয়। এটাই কি আমাদের দুর্বলতা? জানি না। হয়ত বা।
ক্লান্তশ্রান্ত একজন চালকের দ্বারা যেমন দুর্ঘটনার সমুহ সম্ভাবনা থাকে; আবার অসুস্থ একজন শিল্পীর কাছ থেকে যেমন মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত প্রত্যাশা করা যায় না।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরও হয়েছে একই অবস্থা। দারিদ্রকে সঙ্গী করে কীভাবে আমরা সামনে এগুতে পারি, বলতে পারেন?
কেন আমাদেরই সাথে এতো বৈষম্য, জানি না। উন্নত দেশগুলোর কথা বাদই দিলাম। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকান। তাদের শিক্ষকদের বেতন দেখুন। ভুটানের শিক্ষকদের সামাজিক অবস্থা পরিলক্ষিত করুন। একজন শ্রমিকের দৈনিক আয় ৫'শ টাকা। মাসে ১৫ হাজার টাকা। অথচ...। শিক্ষকদের এই মানবেতর জীবনাচরণে অপমানে, লজ্জায় সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের শিওরে উঠার কথা। অথচ আমরা রাজপথে রোদে-বৃষ্টিতে ভিজে অনশন করছি জাতীয়করণের। একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য এ লড়াই। আমরা জানি আমাদের ভবিষ্যৎ কী? অথচ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীকরণ হলে কেবল শিক্ষকরাই সুবিধা পাবেন, এমনটি কিন্তু নয়। বরং দেশের বেশীরভাগ মানুষ উপকৃত হবেন। কারণ, ৯৮‰ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রায় ৬ লক্ষ শিক্ষক কিছুটা উন্নত জীবনের আশায় চেয়ে আছে সরকারের দিকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই এখন আমাদের শেষ ভরসার স্থল।
প্লিজ, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না, উন্নয়নের সহযাত্রী ভাবুন। আমরা বিচ্ছিন্ন কেউ নই, আমরা এদেশের মানুষ। আমাদেরও ইচ্ছে হয় সুন্দর করে বাঁচার। আমাদেরও ইচ্ছে হয় মা-বাবা আর প্রিয়জনদের মুখে একটু হাসি ফোটাই।
লেখক: পংকজ কান্তি গোপ
সহকারী শিক্ষক, পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়
বাহুবল, হবিগঞ্জ।
![আজকের টাঙ্গাইল আজকের টাঙ্গাইল](https://www.ajkertangail.com/media/PhotoGallery/2024July/1-2407090613.jpg)
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- ওদের খুঁজে বের করুন উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে
- বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
- ‘বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল ’
- কারফিউ তুলে নেয়া হবে কবে, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দূরপাল্লার বাস চলছে
- প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু
- রুম ছিল খালি, বাথরুমে গিয়ে মা পেলেন মিমের মরদেহ
- ৯১ সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী
- অতীতের সব রেকর্ড ভাঙলো হাওরের মাছ উৎপাদন
- সালমান খানকে হত্যাচেষ্টা: যেভাবে শুটারদের গাইড করেন লরেন্সের ভাই
- শেষ ওভারের নাটকীয়তায় হারলো পাকিস্তান, ফাইনালে শ্রীলংকা
- চাকরির সুযোগ দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ
- বিপদ-মসিবত থেকে রাস্তাঘাটে নিরাপদ থাকার দোয়া
- ঘাটাইলে বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিথর রাশেদ
- স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ, প্রবাসীসহ গ্রেফতার ৩
- কামড় দেওয়ার অভিযোগে কারাগারে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
- সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান
- আহতদের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় ৬ জন ৫ দিনের রিমান্ডে
- মুক্তিযুদ্ধের মর্মমূলে আঘাতের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান
- বিজিবি`র নিরাপত্তায় সারাদেশে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবে আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
- সহিংসতায় হতাহতদের স্মরণে রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত
- দুর্বৃত্তরা ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে
- কক্সবাজার উপকূলে নিখোঁজ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার
- কোটা আন্দোলনকালে ধ্বংসলীলার তদন্ত ও বিচার দাবি অর্থনীতি সমিতির
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল
- সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- যারা ভারত বিরোধিতার ইস্যু খুঁজছেন তারা আবারও ভুল পথে যাচ্ছেন
- টাঙ্গাইলে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি
- বিদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সরিষাবাড়ীতে যমুনার ভাঙন ঠেকাতে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু
- কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে: সাঈদ খোকন
- রপ্তানি বাণিজ্য টেকসইয়ে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে
- রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান
- গিমাডাঙ্গা স্কুলে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ফেসবুক: পলক
- যে টাকা বানাতে গিয়ে দেশ ছাড়তে হয় সেই অর্থ বানিয়ে লাভটা কী?
- বাংলাদেশ-চীন যৌথ ঘোষণায় যা আছে
- গ্যাস সংকট কখন কাটবে, জানাল জ্বালানি মন্ত্রণালয়
- টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম
- মাগুরায় অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ছাত্রলীগের খাবার বিতরণ
- মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সহযোগী লুসাই গ্রেফতার
- সংসদে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি বিল, ২০২৪ পাস
- বিমান বাহিনী প্রধানের এয়ার চীফ মার্শাল র্যাংক পরিধান
![আজকের টাঙ্গাইল আজকের টাঙ্গাইল](https://www.ajkertangail.com/media/PhotoGallery/2024July/3-2407090613.jpg)