• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রৌমারী-ঢাকা মহাসড়ক সংস্কার কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২৩  

রৌমারী-ঢাকা মহাসড়ক সংস্কার কাজ ঠিকাদারের অবহেলায় ও প্রশাসানের তদারকি না থাকায় ৫ বছরেও শেষ হয়নি। এতে নির্মাণ কাজে গাফিলতি ও ধীরগতি কাজ করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। সময়মতো রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ না করার কারনে অনেক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে এ সড়কটি। ফলে স্থানীয় জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। 

সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জামালপুর ধানুয়া-কামালপুর কদমতলী ভায়া কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা ৩৩২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪টি প্যাকেজে সড়ক উন্নয়নের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী  টু’ল্যান্ড মহাসড়ক ও বিভিন্ন বাজারের স্থানগুলিতে মধ্যস্থ্য স্থান থেকে দু’পাশে ৮’শ মিটার দৈর্ঘ ও ৪৮ মিটার প্রস্থ্য করে সড়ক নির্মাণের উন্নয়ন কাজ করার কথা রয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের ন্যায় প্রসস্ত বৃদ্ধি করণ,গাইডওয়াল, ব্রীজ কালভার্ট, ¯øুইজগেট নির্মাণ ও কার্পেটিং এর কাজ রয়েছে এখানে। পাশাপাশি সড়কের শোভাবর্ধনের কাজ করারও কথা রয়েছে। বলাবাহুল্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গড়িমশির কারণে ৫বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে মানুষের চলাচলের সময় আল্লাহকে ডেকে এ মহাসড়কে চলাচল করছে যাত্রিরা। 
এ মহাসড়ক নির্মাণ উন্নয়ন কাজে রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর শেষ মাথা হতে দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ১’শ ৫০ কোটি টাকা টেন্ডার বরাদ্দ ধরা হয়েছে। রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম ও রানা বির্ল্ডাস কাজটি পান। 
রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রধান মহাসড়ক সওজের সড়কটি। যে সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত শতাধিক ঢাকা গামি দূরপাল্লার পরিবহন ও ছোট খাটো অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ বঙ্গের ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ ৪/৫টি বিভাগের প্রায় ১০টি জেলার সাথে যাতায়াতে যোগাযোগ এবং ভারতীয় আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের সাথে ব্যবসা বানিজ্যে উন্নতি হবে। 
এলাকার সুধিমহল যথা সময়ে এ মহাসড়কের নির্মাণ দ্রæতশেষ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি প্রেরণ করেছেন।  তবে মহাসড়ক উন্নয়নের এসব কাজ শেষ হলে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে জনদুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করেছেন সাধারণ মানুষ। 
সড়কে চলাচলরত ভারতীয় সীমান্ত শুল্ক স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই মালবাহী ট্রাক ড্রাইভার আলতাফ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন থেকে শুরু হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়ায় মালবাহী বোঝাই গাড়ি নিয়ে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এতে মাঝে মাঝে দর্ঘটনাও ঘটচ্ছে। রাস্তা প্রসস্থ্য করনের উন্নয়ন কাজ দ্রæত শেষ করার আশা করছি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ মীর ইব্রাহীম বলেন, গাইড ওয়াল, টু’ল্যান্ডের(দুই লাইন) কার্পেটিংসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। মোটামোটি ভাবে গাইড ওয়ালসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে খোয়া পাথরের ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ করে কার্পেটিং এর কাজও শেষের দিকে। যথা সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।  
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ, সড়ক উপ-বিভাগ-১ কুড়িগ্রাম মোতাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি রয়েছে। বৃষ্টির কারনে বন্ধ রয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসেই রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটির কাজ চলমান ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারনে বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলেই কাজ ধরা হবে। কাজের মেয়াদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের মেয়াদ এর অনেক আগেই শেষ হয়েছে। পরে আবার কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার পর গত জুন মাসে মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবারও জুন আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দরখাস্ত দিয়েছে। তবে আসা করছি, আগামীতেই কাজ শেষ করা হবে। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল