• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সখীপুরে গোপনে মাছ বিক্রি করে ভাইর নামে ৭লাখ টাকা মাছ নিধনের মামলা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩  

টাঙ্গাইলের সখীপুরে যৌথ মালিকানা পুকুরের মাছ গোপনে বিক্রি করে অপর মালিকের নামে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ইন্দারজানির ভাতগড়া এলাকার আতা সরকারের ছেলে মুসকেত আলী ওই পুকুরের অপর মালিক প্রবাস ফেরত চাচাতো ভাই সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সহিদুল ইসলাম।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আতা সরকারের ছেলে মুসকেত আলী ও তার চাচাতো ভাই সহিদুল ইসলামের মালিকানাদীন ৩০ শতাংশ জমির উপর একটি পুকুর খনন করেন। গত ১০মে ওই পুকুরের সব মাছ পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলা আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন মুসকেত আলী। মাছবিক্রির আট দিন পর প্রবাস থেকে বাড়ি আসেন ওই পুকুরের আরেক মালিক সহিদুল ইসলাম। মাছ বিক্রির টাকা চাওয়াতে টাঙ্গাইল আমলী আদালতে সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মিথ্যা মামলা করেন মুসকেত আলী।
পুকুরের এক অংশের মালিক সহিদুল ইসলাম বলেন, মুসকেত সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। আমি প্রবাসে থাকতেই আমরা যোথ ভাবে পুকুর খনন করি।গত কয়েক বছর আমাকে পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করে আসছেন। দেশে আসার আগেই শুনি পুকুরের এবারো তিনি ২৫ হাজার টাকায় সব মাছ বিক্রি করেছেন। মুককেত আলীর কাছে মাছ বিক্রির টাকা চাইতেই তিনি রেগে গিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আমার বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মিথ্যা মামলা করেন তিনি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মুসকেত আলীর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।


ওই পুকুরের মাছ ক্রেতা ঘাটাইল উপজেলার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা ২৮ জন মিলে ওই পুকুরের মাছ কিনেছি ২৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি। মুসকেত নিজে বিক্রি করে নিরঅপরাধ চাচাতো ভাই সহিদুলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। ৩০ শতাংশের পুকুরে ৭ লাখ টাকার মাছ কেমনে থাকে ?


এ ঘটনায় কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.দুলাল হোসেন বলেন, এটি তাদের পারিবারিক সমস্যা। শুক্রবার বিষয়টি সমাধান করতে সালিশ বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল