সূর্যমুখী ফুলে সেজেছে প্রকৃতি
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩

মন কাড়া হলুদ ফুলে সেজেছে প্রকৃতি। এযেনো অপরূপ দৃশ্য। মৌমাছির গুনগুন শব্দ মুখরিত সূর্যমুখী ফুলের মাঠ। হলুদ রঙের হাজারো ফুল মুখ করে আছে সূর্যের দিকে। সবুজ মাঠজুড়ে সূর্যের হাসিতে হাসছে টাঙ্গাইলের বাসাইলের চাষিরা।গ্রাম-বাংলার চাষিদের মাঠজুড়ে প্রকৃতিতে অসাধারণ এক রূপ মেলেছে সূর্যমুখী ফুলে।ভোর হলেই মিষ্টি সোনা রোদে ঝলমল করে উঠে সূর্যমুখী ফুলগুলো। দেখে মনে হয় সবুজ পাতার আড়াল থেকে মুখ উঁচু করে হাসছে সূর্যমুখী। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এ ফুলের নাম সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখীর বাগানে প্রায় প্রতিদিন চলে প্রজাপতি আর মৌ-মাছির মেলা। নয়ন জুড়ানো এ দৃশ্যে খুশি কৃষক, তেমনি মোহিত করছে ফুলপ্রেমী মানুষকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দশর্নার্থীরা ভিড় করছেন সূর্যমুখী ফুলের সাথে ছবি তুলতে।স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভিড় করেছেন সূর্যমুখী ফুলের মাঠে।বিভিন্ন বয়সী মানুষ এসে ভিড় করছেন সূর্যমুখী ফুলের মাঠে।
সূর্যমুখী চাষি সোরহাব মিয়া বলেন, আমি সৌদি আরব ফুলের বাগানে কাজ করেছি। ওখানে অনেক ধরনের ফুল গাছের চারা রোপণ করেছি। সৌদ আরব সূর্যমুখীর আবাদ বেশি হয় চাহিদাও অনেক। তখন আমি চিন্তা করি দেশে যেয়ে কিছু করবো। করোনার মধ্যে দেশে চলে আসি আর বিদেশ যাওয়া হয়নি। পরে চিন্তা করলাম বসে না থেকে কিছু একটা করি। তারপর বাসাইল কৃষি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করি। তাদের পরার্মশে গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ হয়েছি ৬-৭ হাজার টাকা। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করে ৩৫-৪০ হাজার টাকা লাভ হয়। এবছর প্রায় ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ১২-১৪ হাজার টাকা। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে আশা করছি ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখী সরিষার থেকে তিন-চারগুণ বেশি আবাদ হয় খরচ প্রায় সমান হয়। সূর্যমূখী চাষ করতে চার- সাড়ে চার মাস সময় লাগে ও দুইটা সেচ দিতে হয়। চাহিদা ও লাভ অনেক বেশি। আমার বাজারে বিক্রি করতে যেতে হয় না। বাড়ি থেকে এসে ক্রেতারা নিয়ে যায়। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (অনলাইন) বিক্রি করছি। সূর্যমুখী চাষে একদিকে তেলের চাহিদা পূরণ হবে। অন্যদিকে সুন্দর্য বাড়ছে। আমার বাগানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এক নজর দেখতে আসছে দর্শনার্থীরা এসে তারা ছবি তুলছে। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে করার চিন্তা ভাবনা আছে। যারা বেকার ঘরে বসে না থেকে সূর্যমুখীর চাষ করলে তারা অনেক লাভবান হবেন। তেলের চাহিদাও পূরণ হবে। উপজেলা কৃষি অফিস আমাকে সব ধরণে সহযোগিতা করছে।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর দু’শত ৩০ হেক্টর সূর্যমুখীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত অর্জন করা হয় দু’শত ৪২ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় ১৪ হেক্টর বেশি আবাদ হয়। যে আবাদ হয়েছে তা থেকে ৪’শত ৪২ মে.টন সূর্যমুখীর বীজ পাওয়া যাবে। জেলায় এ বছর ৬২৫ জন কৃষককে সূর্যমুখীর এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এওপি সার প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিতরণ করা হয়েছে।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের অর্ণব আল আমিন বলেন, গত বছর সোরহাব মিয়ার সূর্যমুখী ক্ষেতে ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগে। এবছর আমিও আমার বাড়ির উঠানে সূর্যমুখী চাষ করেছি। এক দিকে সুন্দর্য বাড়ছে আরেক দিকে তেলের চাষিদা পূরণ হবে।
টাঙ্গাইল থেকে ঘুরতে আসা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজীব মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখেছি। তাই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসলাম। সূর্যমুখী ফুলের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে।
রাজন সাহা বলেন, তেল উৎপাদনের জন্য বাজারে এর বীজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতে পারলে আমরা লাভবান হতে পারবো।
কৃষক লিয়াকত আলী খান বলেন, সোরহাব মিয়ার সূর্যমুখীর চাষ করেছে দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সূর্যমুখী সরিষার থেকে তিনগুণ-চারগুণ বেশি লাভ হয়। এটার চাহিদা ও দাম অনেক বেশি। আমারও ইচ্ছে আছে আগামী বছর নিজ উদ্যোগে সূর্যমুখীর চাষ করার। সরকারি ভাবে যদি কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে তহালে সূর্যমুখীর আবাদ আরও বাড়বে।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, ভোজ্যতেলের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্জনের লক্ষে সরিষার আবাদ যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেভাবে সূর্যমূখীর আবাদও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা সরিষার পাশাপাশি সূর্যমুখীর বড় ধরনে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। সূর্যমুখী বীজ থেকে একদিকে তেলের চাহিদা পূরণ হবে। অন্যদিকে সুন্দর্য বাড়ছে দর্শকরা সূর্যমুখীর ছবি তুলার জন্য ক্ষেতগুলোতে ভীড় করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদেরকে সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধির জন্য যেমন উৎসাহ দিচ্ছি। তেমনি তাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করছি প্রতিনিয়তই তাদের পাশে থেকে। সূর্যমুখীর আবাদ কৌশল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ভাবে ধারণা দিচ্ছি। রোগ-বালাই থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সেজন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষকদের পাশে থেকে উৎসাহ প্রদান করছি। এজন্য টাঙ্গাইলে দিনদিন সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

- সারাদেশে একদরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হবে
- এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা মিয়ানমারের
- শেষ পর্যন্ত দেশীয় কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত
- ১০ স্থানে অনুসন্ধানে বিশেষ চুক্তিতে যাচ্ছে বাপেক্স
- স্বাধীনতা দিবসে জিনপিংয়ের শুভেচ্ছা
- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- পার্টি না করে গরিবদের ইফতার সামগ্রী দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কুড়িগ্রামে চলন্ত মোটরসাইকেলে বিষাক্ত সাপ, প্রাণে বাঁচরো চালক
- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
- কুড়িগ্রামে অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনি অনুষ্ঠিত
- বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী`র স্বাধীনতা দিবস পালিত
- মেলান্দহে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- চট্টগ্রাম জামেয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- স্বাধীনতা দিবসে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড দিচ্ছে ৫৩০০ টাকায় নোসপিন
- রৌমারীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- শুকিয়ে যাওয়া তিস্তা নদী হঠাৎ পানিতে টইটম্বুর
- বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা ও হ্যান্ডলিং করতে চায় জাপান
- বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন’: তোফায়েল আহমেদ
- বিজিবির ইফতার পার্টি হচ্ছে না
- রোহিঙ্গা শিবিরে আসছে জাতিসংঘের জাকাত ফান্ডের টাকা
- নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালিত
- এবার আকাশে একসঙ্গে দেখা যাবে পাঁচ গ্রহ
- কয়লা বিদ্যুতে ঝুঁকছে বাংলাদেশ
- সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- প্রাথমিকে বদলি আবেদন শুরু রোববার
- ডোপ টেস্টে ১১৬ মাদকাসক্ত পুলিশ চাকরিচ্যুত
- দেড়শ’ উপজেলার রাজাকারের নাম পেয়েছে সংসদীয় উপ-কমিটি
- ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন’
- ১০ স্থানে অনুসন্ধানে বিশেষ চুক্তিতে যাচ্ছে বাপেক্স
- সৌরজগতের কাছেই সূর্যের চেয়ে ১২ গুণ বড় ব্ল্যাক হোল
- ইতালির ওয়ার্ক ভিসার আবেদন ২৭ মার্চ শুরু
- ঘাস কাটতে কাটতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন কৃষক
- কক্সবাজারে ইয়াবা মামলায় রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন
- জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস আজ
- যেসব শর্তে মোটরসাইকেল চলবে মহাসড়কে
- মেট্রো রেলের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উন্নয়নে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
- চিকিৎসা প্রদানে আন্তরিক ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে বাপসার শুভেচ্ছা
- লক্ষ্মীপুরে অসহায় নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ
- তালিকা হচ্ছে এলাকাবিচ্ছিন্ন এমপিদের
- জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে পাঁচটি সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাডেটদের সমাপনী প্যারেড পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান
- দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ:প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক থাকবে, সেহেরি-ইফতারে বিদ্যুৎ যাবেনা
- ৫ সিটি নির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে
- বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙ্গালির স্বাধীনতার শপথ
- প্রশংসায় মুখর বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব
- সরকারের মামলা পর্যবেক্ষণে সলট্র্যাক
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দূরত্ব কমবে ৪০ কিলোমিটার
