• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মধুপুরে কফি চাষ করে সফল কৃষক ছানোয়ার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২২  

টাঙ্গাইলে কঠোর পরিশ্রমী এবং সফল একজন কৃষকের নাম ছানোয়ার হোসেন। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামে।

ছানোয়ার তাঁর মহিষমারা নিজ গ্রামে বিভিন্ন ফল চাষ করতেন। একসময় তাঁর ভাবনায় আসে, কফি অনেক দামি ফসল। এটি চাষ করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। সেদিনের সেই ভাবনাকে আজ বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ছানোয়ার হোসেন। কফি চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। তাঁকে দেখে আজ অনেকেই কফি চাষ শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দেখতে আসে তাঁর সেই স্বপ্নের কফি বাগান।

কীভাবে বাস্তব রূপ দিলেন স্বপ্নের কফি বাগানের, তা বর্ণনা করতে গিয়ে ছানোয়ার জানান, কফি দামি একটি ফসল। এটা জানার পর খোঁজ করতে থাকেন, কোথায় এর চারা পাওয়া যায় এবং কীভাবে চাষ করতে হয়। ২০১৭ সালে জানতে পারেন, বান্দরবনের রায়খালী হর্টিকালচার সেন্টারে কফির চারা পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে চারা সংগ্রহ করেন। কফি চাষ সম্পর্কেও জেনে আসেন।

মধুপুরের মহিষমারা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে ৪০০ কফির চারা লাগান। দুই বছর পর কিছু গাছে দু-একটি ফল আসে। এতে উৎসাহ বেড়ে যায় তাঁর। মনোযোগ দিয়ে পরিচর্যা শুরু করেন। পরের বছর ফলে ফলে ভরে যায় প্রতিটি গাছ। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে দুই কেজি কফি ফল পান। ফল শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের পর প্রায় ৮৫ কেজি কফি পাওয়া যায়। তা বিক্রি করে ৮০ হাজার টাকা পান। এবারও প্রচুর ফল এসেছে প্রতিটি গাছে।

ছানোয়ার হোসেনের কফি বাগানে সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, বসতবাড়ির পূর্ব পাশে কফিবাগান। প্রতিটি গাছে থরে থরে ধরে আছে কফি ফল। কোনটা পেকে লাল টুকটুকে হয়েছে, আবার কোনটা সবুজ।

ছানোয়ার বলেন, ফল পাকার পর গাছ থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে শুকাতে হয়। পরে এর খোসা ছাড়িয়ে মেশিনে পিষে গুঁড়া করতে হয়। ফল থেকে কফি প্রক্রিয়াকরণের মেশিনও কিনে নিয়েছেন তিনি। সেখানেই কথা হয়, মধুপুরের আবদুল করিম ফকিরের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর কফি চাষে আগ্রহ রয়েছে। তাই ছানোয়ারের বাগান দেখতে এসেছেন তিনি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল