• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আখের সাথে সাথী ফসল চাষ করতে হবে- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে আখ উৎপাদন এবং আখ মাড়াই বা চিনিকল-দুই জায়গাতেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে দুই জায়গাতেই যদি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়ে, তাহলে আখ চাষ লাভজনক হবে। একইসাথে, আখের সাথে সাথী ফসল চাষ করতে হবে। বিএসআরআই উদ্ভাবিত উন্নত জাতের সাথে সাথী ফসল চাষ করলে আখচাষ লাভজনক হবে। কৃষকেরা আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) আয়োজিত ‘সুগারক্রপ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের সুগারমিলগুলো অনেক পুরনো। চিনি উৎপাদন প্রযুক্তিও আধুনিক নয়। অন্যদিকে মাঠে আখের উৎপাদনশীলতা কম। এতে চিনি উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি হয়। বর্তমানে ১ কেজি চিনি উৎপাদন করতে যে খরচ পড়ে তা কমিয়ে আনা যায় কিনা যাচাই করা দরকার। প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির ১টি মডেল সুগারমিল পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা যেতে পারে। এর সাথে মাঠে উন্নত জাতের আখের চাষ। তারপরও যদি দেখা যায়, চিনির উৎপাদন খরচ কমছে না ও আখ চাষ লাভজনক নয়, তাহলে দেশে চিনিকল বন্ধ করে দেয়া দরকার।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিএসআরআইর পরিচালক সমজিৎ কুমার পাল, জামালপুর উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খন্দকার মহিউল আলম, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক আহসানুল বাশার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) জানায়, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সুপারিশ অনুযায়ী জনপ্রতি বছরে ১৩ কেজি চিনি/গুড় গ্রহণ করা প্রয়োজন। সে হিসাবে দেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ লক্ষ টন চিনি/গুড় প্রয়োজন। বর্তমানে উৎপাদিত হয় প্রায় ৬ লক্ষ টন (০.৬৮ লক্ষ টন চিনি আর ৫.৩২ লক্ষ টন গুড়)। বছরে ঘাটতি ১৪ লক্ষ টন। ঘাটতি পূরণের জন্য দরকার আরো বেশি গবেষণা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। সেলক্ষ্যে বিএসআরআই কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আখের ৪৮ টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে চিবিয়ে খাওয়া ও রস পান উপযোগী ৩টি, বন্যা সহিষ্ণু ৯টি, জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ১০টি, খরা সহিষ্ণু ৭টি, লবণাক্ততা সহিষ্ণু ৬ টি উল্লেখযোগ্য। আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে আলু, পিঁয়াজ, রসুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডাল, তেল, মশলা প্রভৃতি ফসল চাষের প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করেছে সংস্থাটি। বিএসআরআই আরও জানান, যেসব স্থানে অন্যান্য ফসল কম চাষ হয় সেখানে চাষের উপযোগী জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। খরাপীড়িত, বন্যাপ্রবণ, জলাবদ্ধতা, চর, হাওড়, লবণাক্ত ও পাহাড়ি এলাকায় আখ চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। চিবিয়ে খাওয়া ও রস পান উপযোগী জাতের আখ চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল