• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

ভারি বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৪  

সিলেটে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আাসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এ অঞ্চলে আবারো বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, গতকাল থেকে আজ (রোববার) পর্যন্ত সিলেটের অন্তত ৪টি উপজেলার নি¤œাঞ্চল নতুন করে তলিয়ে গেছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনগাট, কানাইঘাট ও ওসমানীনগর। আবারও বাড়তে শুরু করেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি। সিলেটে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে ঢলের কারণে এ অঞ্চলে আবারো বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর, রুস্তুমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং ইউনিয়নের হাওড় ও নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলার সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কটি ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। যার কারণে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল অনেকটা বন্ধ রয়েছে। গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলায় সড়কের উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছনবাড়ি, চিকাডহর, শাহ-আরেফিন বাজার ও জালিয়ারপাড় গ্রাম ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানিতে। যার কারণে লোকজন বাড়িঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সেখানের ছনবাড়ি-ভোলাগঞ্জ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া উপজেলার নি¤œাঞ্চলগুলোতে আগে থেকেই ছিল কিছু বন্যার পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে দুটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সিলেটে সুরমা এবং আমলসীদ ও শেওলায় কুশিয়ারা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুটি নদীতেই পানি বাড়তির দিকে রয়েছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি সেখানে এভাবে বৃষ্টিপাত অবিরাম চলতেই থাকে, তাহলে সিলেটের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হতে পারে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে যদি প্রতিদিন ২০০ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত হয় তা হলে সিলেটে বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা) সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ৬৬.৫ মিলিমিটার। আর সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ছিল ২৮ মিলিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত) সিলেটে ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। শনিবার রাতেও সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। রোববার সকাল থেকে ফের থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সিলেটে সোমাবার ঈদের দিনও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত এবং বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৭ মে থেকে সিলেটে আগাম বন্যা দেখা দেয়। দুই সপ্তাহব্যাপী চলমান এ বন্যায় আক্রান্ত হন ১২টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আগেই সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা। এমন পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল