• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায় : ইইউ রাষ্ট্রদূত

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪  

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, অনেক দেশ বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা করতে চায়।
তিনি গতকাল সোমবার এখানে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিসিএবি) এর ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ডিসিএবি টকে বলেন “বাংলাদেশ পছন্দ করার অবস্থানে রয়েছে। কারণ অনেক দেশ বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা করতে চায়। এটা সহজ ও সরল বিষয়।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশে আরও ব্যবসা করতে চায়। কারণ দেশটির জিডিপি অনুপাতে ঋণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে ভালো।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিক্যাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
হোয়াইটলি বলেন, বাণিজ্য হচ্ছে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের মূল ভিত্তি এবং সেই ভিত্তি ক্রমবর্ধমান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নতুন বিধিবিধানের প্রতি বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, জিএসপি প্লাসে উত্তরণের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ অত্যন্ত শক্তিশালী অগ্রগতি করেছে।
তিনি বলেন. “আমি বাংলাদেশের মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে খুব খুশি। তারা এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেয়। তারা এটিকে খুব প্রাথমিক পর্যায়ে দেখে। তাই এটা খুব চিত্তাকর্ষক।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং এটি অনেক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের মতো দেশে বক্তৃতা করি না; পরিবর্তে একটি উদীয়মান শক্তি হিসাবে তাদের মর্যাদাকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা তাদের সাথে সত্যিকারের অংশীদারিত্বে কাজ করি।”
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এবং "গ্লোবাল গেটওয়ে" এর নতুন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন যার মাধ্যমে ব্রাসেলস অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য "গুণমান" অফার করছে।
তিনি অবশ্য বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দেশটি এলডিসি থেকে উত্তরণ করছে।
ইইউ দূত বলেন, তিনি ভবিষ্যতে বিশেষ করে, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় আরও সহযোগিতা দেখতে চান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাসেলস ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সহিংসতার উসকানি বন্ধ করতে ফেসবুকের মতো সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং পরিষেবা আইনের মাধ্যমে ইউরোপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রিত করছি। এ আইন উদাহরণস্বরূপ ফেসবুক ও মেটার মতো কোম্পানিগুলোর ওপর দায় অর্পণ করেছে। এ লক্ষ্যে তারা আরও পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়েও আলোচনা করছেন বলে জানান তিনি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল