• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

প্রধানমন্ত্রী ধান বিক্রি করে পেলেন ৯৬ হাজার টাকা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৪  

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক জমির তিন টন ধান ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ার পুবের বিলে উৎপাদিত এ ধান মঙ্গলবার নির্ধারিত ৩২ টাকা কেজি দরে সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রি করে প্রধানমন্ত্রী ওই টাকা পান। এতে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা হিসাবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভোটার হওয়ার সময় স্বামী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার ধানমন্ডির বাড়ির ঠিকানা দেখানো হয়েছিল। গত বছর বোরো মৌসুমে খাদ্য গুদামে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমির ধান বিক্রি করেন। টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, এ বছর টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মোট ৯২৩ টন ধান ক্রয় করবে সরকার। তাই প্রাথমিকভাবে ৩০৮ জন কৃষক লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে নির্বাচিত কৃষক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন টন বোরো ধান বিক্রি করেছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রীর পৈতৃক জমি অনাবাদি হিসাবে পড়েছিল। তার নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। এ নির্দেশনাকে মাথায় রেখে গত মৌসুম থেকে সমবায়ের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর জমিতে বোরো ধান আবাদ শুরু করা হয়। কৃষির ওপর প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ দেখে প্রতিবেশীরাও পুবের বিলের অনাবাদি জমি চাষাবাদে আগ্রহী হয়। গত মৌসুমে প্রধানমন্ত্রীর পৈতৃক ১৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৫০ মন ধান পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এবার দ্বিতীয় বারের মতো ওই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এবার জমি থেকে প্রাপ্ত ৩ টন বোরো ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে জেলার কৃষকদের ধান সংগ্রহ শুরু হয়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেজিপ্রতি ৩২ টাকা ও প্রতি মণ এক হাজার ২৮০ টাকা দরে ধান ক্রয় করবে খাদ্য গুদাম।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল