• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

গভীর রাতেও গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪  

স্থলভাগে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬ টার পরপরই রেমালের কেন্দ্র উপকূল অঞ্চল ছুঁয়েছে। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করছে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে। উপকূল অতিক্রম করতে আরো ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাতে বরগুনায় জলোচ্ছ্বাসে স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে অন্তত ৬ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাঁধ ভেঙে ও উপচে আমতলী উপজেলায় চারটি, সদর উপজেলায় পাঁচটি এবং বিষখালী নদীর মাঝের চর প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে হন্যে হয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। সদর উপজেলার পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, সতর্কবার্তা পেলেও ভেবেছিলাম কিছু হবে না। কিন্তু রাত ১২টার দিকে অবস্থা বেগতিক দেখে গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। মাঝের চরের বাসিন্দা রিয়াজ জানান, দুপুরের জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে মাঝেরচরের লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। রাতের জোয়ারে ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অর্ধ নিমজ্জিত হয়ে গেছে মাঝেরচর। এখানেও বাসিন্দারা মুজিব কেল্লা ও সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতি মুহুর্তে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মাছখালী গ্রামের বাসিন্দা হেমায়েত মিয়া বলেন, জলোচ্ছ্বাসে আমাদের এখানের কমপক্ষে ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারে ৫ থেকে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বাসিন্দারা যে যেভাবে পারছেন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন। বড় পোটকাখালী গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, বড় পোটকাখালী এলাকার সরকারি দুটি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবাইকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বলেছি। উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষের জন্য খুলে রাখা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাত নয়টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বাগেরহাটের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। উপকূলীয় বাগেরহাটের মানুষের আশ্রয়ের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনের উপর গাছপালা উপড়ে পড়ায় জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল