শিল্প মন্ত্রণালয়ের অসমাপ্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ

গতিশীলতা বৃদ্ধি ও মনিটরিং জোরদারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অসমাপ্ত প্রকল্পসমূহের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আজ রবিবার (২৬ মে) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের মে মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিআইসি, বিসিক, বিএসইসি, বিএসটিআই, বিএসএফআইসি, বিটাক, এনপিও, বিআইএমসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকরা। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলো প্রকল্প শেষের পথে রয়েছে। অল্প টাকার জন্য যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন এখনো সম্ভব হয়নি, সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রকল্প পরিচালকরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতিকে দৃশ্যমান করতে হবে। ’ সভায় জানানো হয়, চলমান বিভিন্ন প্রকল্পগুলো এপ্রিল মাস পর্যন্ত আর্থিক বরাদ্দের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৪৬.২৪ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন তিনটি কারিগরিসহ ২৬টি প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ দেওয়া হয় দুই হাজার ৮২৩ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে জিওবি খাতে দুই হাজার ২০২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা, প্রকল্প সাহায্য হিসাবে আট কোটি ২২ লাখ টাকা ও স্ব-অর্থায়নে ৬১২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আগে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য নির্বাচিত দপ্তর ও সংস্থার মাঝে সনদ বিতরণ শিল্পমন্ত্রী। এতে ইনোভেশন শোকেসিংয়ে (প্রদর্শনীতে) শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ নির্বাচনে প্রথম স্থান অধিকার করে বিটাক। দ্বিতীয় হয়েছে বিসিআইসি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে বিসিক। বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪-এর আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর-সংস্থা অংশগ্রহণ করে। যা গত ১৫ মে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় তলার লবিতে ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত হয়। ইনোভেশন শোকেসিংয়ে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত ‘মূল্যায়ন কমিটি’র মাধ্যমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হয়।