• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন আজ, অপরূপ সাজে চট্টগ্রাম

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৩  

রাত পোহালেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে অপরূপ সাজে সেজেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে তোরণের পাশাপাশি রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। বিশেষ করে পতেঙ্গা সড়ক ও শাহ আমানত সড়কের সাজসজ্জা চোখে পড়ার মতো।
শুক্রবার নগরের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড, আউটার রিং রোড, শাহ আমানত সেতু এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

শনিবার নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টানেল পাড়ি দিয়ে যাবেন আনোয়ারা প্রান্তে। সেখানে কোরিয়ান ইপিজেডের মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।

এদিকে, এরই মধ্যে জনসভার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতাকে বরণে কাজ করে যাচ্ছেন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।


দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আট ফুট উচ্চতার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৮ ফুট প্রস্থের মঞ্চটি নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ জনের বসার ধারণক্ষমতা থাকলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পদধারী নেতা এবং জনপ্রতিনিধি মিলে ৩০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঢাকার কলরেডি থেকে আসা ২০০ মাইক জনসভাস্থলের আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু টানেলসহ মোট ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাতটি প্রকল্প রয়েছে। অনেকগুলোর কাজই প্রায় শেষ হয়েছে। যেগুলো হয়নি সেগুলো আগামী বছরের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ


২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর এ টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পরে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮-৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হয়। দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এটিই বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ, যা নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করেছে। এর প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক ৪৫ কিলোমিটার ও ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার।

টানেলের একপ্রান্ত আনোয়ারায় রয়েছে সিইউএফএল, কাফকো, কোরিয়ান ইপিজেড, প্রস্তাবিত চায়না ইপিজেড ও পারকি সমুদ্রসৈকত। আনোয়ারা দিয়েই বাঁশখালী, কক্সবাজার, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল এবং মীরসরাই ও ফেনীর সোনাগাজীর বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের সঙ্গে যোগাযোগের লক্ষ্যেই নেয়া হয় এ টানেল প্রকল্প।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি চালু হলে ত্বরান্বিত হবে কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন। পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর-বিমানবন্দরের সঙ্গেও স্থাপিত হবে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। কমে যাবে ভ্রমণের সময় ও খরচ।

এছাড়া পূর্বপ্রান্তের শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুত করা মালামাল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দরসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন প্রক্রিয়া সহজ হবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের ফলে বিকশিত হবে পর্যটনশিল্প।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল