নদী-জলাভূমিসংলগ্ন জমিতে কারখানা করতে অনুমতি লাগবে
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২
পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সারা দেশের যাতায়াত সহজ হয়েছে। খরচ কমেছে পণ্য পরিবহনে। এই সেতু ঘিরে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে অতীত অভিজ্ঞতার কারণে শিল্পায়নের কারণে নদী দখল ও দূষণের আশঙ্কা করছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।
প্রমত্ত পদ্মা নদীর ওপর সেতুর অভাবে এত বছর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। স্থানীয় লোকজন আশা করছেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। আর উদ্বেগের বিষয়টি এখানেই।
নদী রক্ষা কমিশন মনে করছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন শিল্পকারখানা করতে গিয়ে ব্যাপকভাবে নদী ও জলাভূমি দখল হতে পারে। দখল ও শিল্পবর্জ্যের কারণে নদীদূষণের মাত্রা বাড়তে পারে।
নদী কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর প্রবাহ নষ্ট করে, নদীর জায়গা দখল করে, নদীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে শিল্পকারখানা করা যাবে না। কমিশন বলছে, নদীর জায়গা দখল করে আগে অনেক জায়গায় কারখানা গড়ে উঠেছে। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। তবে এবার তারা কঠোর হবে। নতুন কাউকে নদীর জায়গায় কারখানা করতে দেওয়া হবে না।
তাই দক্ষিণাঞ্চলে নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার আগে শিল্পমালিকদের একটি বার্তা দিতে চায় কমিশন। এরই অংশ হিসেবে সংস্থাটি ২১ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে। গত ২৭ জুন ডিসিদের পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নদী ও জলাভূমিসংলগ্ন জমিতে যেকোনো ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই কমিশনের অনাপত্তি নিতে হবে।
শিল্পায়নের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়
সারা দেশে নদী ও জলাভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে। শিল্পকারখানার বর্জ্যে নদীর দূষণ বাড়ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১৯৬০-এর দশকে দেশে নদী ছিল ৪৪৫টি। এখন দেশে নদী রয়েছে ২৩১টি। নৌপথ কমে প্রায় চার হাজার কিলোমিটারে নেমে এসেছে। বর্ষা মৌসুমে নৌপথ অবশ্য ছয় হাজার কিলোমিটার থাকে।
নদী বাঁচানো ও নদীর পরিসর বাড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৪ সালে গঠিত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে হাইকোর্ট নদীর অভিভাবকের দায়িত্ব দেন। কমিশনকে স্বাধীন ও কার্যকরে সব ব্যবস্থা নিতে সরকারকে বলেন।
নদী রক্ষা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সরকার নির্ধারিত নদীর জায়গায় কেউ শিল্পকারখানা করতে পারবে না। নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে কারখানা করা যাবে না। কেউ যদি তার নিজ জমিতে কারখানা করতে চায়, অবশ্যই পরিবেশবান্ধব কারখানা করতে হবে। নদীতে যাতে বর্জ্য না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মকর্তারা বলেন, ডিসিদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, কেউ যদি লাল ক্যাটাগরির কারখানা করতে চায়, অবশ্যই অনাপত্তি নিতে হবে। তা ছাড়া হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, নদী, খাল–বিল, জলাশয়ের ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে নদী রক্ষা কমিশনের অনাপত্তি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
চিঠিতে হাইকোর্টের আদেশের উল্লেখ
ডিসিদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় শিল্পায়ন যাতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হয়, নদ-নদী, খাল–বিল ও জলাশয় যাতে দখল, দূষণ ও ভরাটমুক্ত রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে হাইকোর্টের ২০১৯ সালের একটি আদেশের কথাও উল্লেখ করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, দেশের সব নদ-নদী, খাল–বিল, জলাশয়ের আশপাশে নতুন প্রকল্প গ্রহণে সরকারের সব সংস্থা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে জানাবে। একই সঙ্গে কমিশন থেকে অনাপত্তি নিতে হবে।
এখনই কঠোর হতে হবে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী রক্ষা করতে চাইলে এখনই কঠোর হতে হবে। ভূমির ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে। শিল্পায়ন হতে হবে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব।
নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবীব বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদার করে রাখা হয়েছে। তারা সুপারিশ, অনুরোধ আর চিঠি দেওয়া ছাড়া কিছু করতে পারে না। অথচ প্রতিষ্ঠানটি নদীর অভিভাবক।
ইকবাল হাবীব বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতুর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে অবশ্যই ভূমির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কৃষিজমি বাঁচাতে হবে। নদীর জমি রক্ষা করতে হবে। পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তুলতে হবে। না হলে দক্ষিণাঞ্চলও একদিন গাজীপুর, ময়মনসিংহের মতো ধ্বংস হবে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখন দক্ষিণাঞ্চলে নানা শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। তবে আমাদের বার্তা হচ্ছে, নদীর ক্ষতি করে, নদী দূষণ করে কোনো শিল্প করা যাবে না।’
- সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
- বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আরো ১৫ জন কারাগারে
- আমিরাতফেরত যাত্রীর কাছে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা
- যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী
- অর্থনীতি বলতে আমি বুঝি মানুষের কল্যাণ: প্রধানমন্ত্রী
- তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দেশে জাগরণ তৈরি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকের এমডিরা যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- মানুষের ভাগ্য নিয়ে যুদ্ধাপরাধীরা যেন খেলতে না পারে
- গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে, এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী
- কোনো বিদেশী শক্তির পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা
- বান্দরবানে র্যাবের অভিযানে কুকি-চিনের নারী সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
- কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
- আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে দেয়া হবে না : কৃষিমন্ত্রী
- সকলের প্রচেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন সম্ভব
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে
- আগামী ২৪ মে শুরু নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা, থাকছে ১০ হাজার নতুন বই
- বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত এসওপি স্বাক্ষর করেছে
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে খাবার বিতরণ
- লালমনিরহাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
- রাজধানীর সবুজবাগে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
- শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা : খাদ্যমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
- জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রেফতার
- জাতির পিতার সমাধিতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি
- জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে : আইজিপি
- বান্দরবানে কেএনএফ`র নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেফতার
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- মা-বাবার সেবা বিপদমুক্তির অসিলা
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- বিমা দাবি পরিশোধে কমিশন ও সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান