• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে নিহতের স্বজনরা সঠিক বিচার পাবে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, এখন অপেক্ষা রায় কার্যকরের। রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে নিহতের স্বজনরা ন্যায়বিচার পাবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের রায় যথার্থভাবে কার্যকর করা হবে। আপনারা বিচারের জন্য যেভাবে ধৈর্য ধারণ করে আসছেন, এভাবে ধৈর্য ধারণ করবেন। আপিল বিভাগে হত্যা মামলা নিষ্পত্তি হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, এভাবে নৃশংস ও হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটবে আমরা কল্পনাও করিনি। কতিপয় বিপথগামী বিডিআর সদস্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যথার্থ বিচারকার্যের মাধ্যমে একটি বিচার শেষ হয়েছে। আর একটি চলমান রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারেও অনেক সময় লেগেছে। তারপরও আজ আমরা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছি।আমাদের থেকে কালো দাগ মুছে গেছে, আমাদের কপালে আর কালো দাগ নেই। অবশেষে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম এই ঘটনার সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ বিচার যেন হয়। আর বিচারকরা তাই করেছেন। আর যেই মামলার বিষয়টি চলমান রয়েছে, সেটা খুব শিগগিরই শেষ হবে।বিচার শেষ হওয়ার পরে আপিল করার একটি সুযোগ থাকে। সেটাও তারা করছেন। আমরা মনে করি এই প্রক্রিয়া শেষ হলে ন্যায়বিচার পাবেন নিহতের স্বজনরা।

এ সময় নিহতের স্বজনরা দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর ও দিবসটি জাতীয় সেনা শহীদ দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

২০০৯ সালের এই দিনে সংঘটিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম পিলখানা হত্যাকাণ্ড। আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ৫৭ জন সেনাসদস্যসহ ১৭ জন নারীও শিশুকে।

বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলেন। জমে থাকা মনের আকুতিগুলো তুলে ধরেন অশ্রুসিক্ত নয়নে।

নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানসহ বিজিবি মহাপরিচালক। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত হয়।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল