সড়ক ও বিদ্যুতে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ি জনপদ
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২১
দুর্গম পাহাড়ের বুকে পিচঢালা সুগম পথ। সবুজের মাঝে অজগরের মতো আঁকাবাঁকা সড়ক যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি তা পাল্টে দিয়েছে পাহাড়ি জীবনও। গত এক দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় সোয়া চারশ কিলোমিটার (কিমি) নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুতের আওতায় এসেছে ৫৫ ভাগ পরিবার। কাজ চলছে শতভাগ বিদ্যুতায়নের। এতে জীবনমান পাল্টে গেছে এ এলাকার ১৬ লাখ মানুষের। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার জালিয়াপাড়া থেকে সিন্দুকছড়ি হয়ে মহলছড়ি পাহাড়ের বুকে আঁকাবাঁকা ২২ কিমি পথ। একসময় স্থানীয়ভাবে চাঁন্দের গাড়ি নামে পরিচিত জিপ গাড়িই ছিল এখানকার মানুষের অবলম্বন। যে পথ পাড়ি দিতে আগে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগত, সড়কটি চালু হওয়ায় এখন সময় লাগে মাত্র ত্রিশ মিনিট। খাগড়াছড়ির গুইমারা, লক্ষ্মীছড়ি ও মহলছড়ি উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করছে। রাঙামাটির মানুষও ব্যবহার করছে এ সড়কটি।
দুদিন সরেজমিন ঘুরে প্রত্যন্ত পাহাড়ে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের এ চিত্র দেখা যায়। শুধু জালিয়াপাড়া-মহলছড়িই নয়, পার্বত্য এলাকার তিন জেলাতেই হয়েছে নতুন রাস্তা। গত এক দশকে খাগড়াছড়িতে নতুন সড়ক হয়েছে ৬০ কিমি। বান্দরবানে হয়েছে ৩০০ কিমি। এ জেলায় সংস্কার হয়েছে আরও ৩৭৫ কিমি সড়ক। রাঙামাটিতে নতুন সড়ক হয়েছে ৫৫ কিমি, সংস্কার করা হয়েছে ১৫৩ কিমি সড়কপথ। এর পাশাপাশি চলছে ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ।
এ সড়কটি পাহাড়ের তিন জেলার ছয়টি উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। ২০২৮ সালে এ সড়ক নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। সীমান্তে এমন ১ হাজার কিমি সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় সড়ক যোগাযোগে বড় পরিবর্তন এনেছে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত প্রায় দুই কিমি দৈর্ঘ্যরে মৈত্রী সেতু। সেতুটি হওয়ায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে পার্বত্য এলাকার প্রথম স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। এটি চালু হলে ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে এ এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থাপিত হবে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^^াস বলেন, এ সেতুকে কেন্দ্র করে রামগড় স্থলবন্দরের কাজ এগিয়ে চলছে। এতে এ অঞ্চলের আমদানি-রফতানি বাড়বে। এ সেতু খাগড়াছড়ি জেলার মানুষের জন্য একটি পজিটিভ কানেকটিভিটি তৈরি করবে।
সাজেক আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নির্দেশনায় জালিয়াপাড়া-মহলছড়ি রাস্তাটি হওয়ার পর এ এলাকার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন খাগড়াছড়ি থেকে অতিদ্রুত সাজেকে আসা যায়। অতিদ্রুত যাতায়াত করার কারণে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। চার ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সাজেকে থাকেন প্রভাত চন্দ্র (৭০)। নিজের পাহাড়ি জমিতে কলা, আম, হলুদ, আদা ও কাঁঠাল চাষ করেন। তিনি বলেন, আগে এ এলাকা জঙ্গল ছিল। আগে এখান থেকে ফলমূল খাগড়াছড়ি নিয়ে যেতে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা লাগত। এখন আমরা চার-পাঁচ ঘণ্টায় খাগড়াছড়ি যেতে পারি। এখন সকালে মাল (পণ্য) নিয়ে গেলে বিকালে ফিরে আসতে পারি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের পর পরবর্তী ২১ বছরে পাহাড়ের উন্নয়নে কেউ কাজ করেনি। দুই দশক পাহাড়ে যে যুদ্ধ হয়েছে; বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা হতো না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার নয় মাসের মাথায় শান্তিচুক্তি হয়। গত ১২ বছরে পাহাড়ের সবক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কখনও এটা চিন্তা করতে পারিনি। বিদ্যুৎ ছিল না। রাস্তা ছিল না। এখন সব হয়েছে।
গত এক দশকে পাহাড়ে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার কথা বলেন খাগড়াছড়ি ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুলতান মাস্টার। একই কথা বলেন ফলদ বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিবাকর চাকমাও।
বিদ্যুতের আওতায় ৫৫ ভাগ মানুষ : কুপি বাতি আর হারিকেনের দিন শেষ। বিদ্যুতের আলোয় বদলে যাচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনমান। এগিয়ে চলছে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ। কর্মকর্তারা বলছেন, এখানকার ৫৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। দুর্গম এলাকাকে সোলার পদ্ধতির মাধ্যমে সৌর বিদ্যুতের আওতায় আনার কাজ চলছে। কিছুদিন আগেও সন্ধ্যা নামলে পাহাড়ের যেসব পরিবার তাড়াতাড়ি কাজ সেরে ঘুমিয়ে যেত। এখন সেখানে বিদ্যুতের আলোয় চলে শিশুদের পড়ালেখা, পারিবারিক বিনোদন।
সরেজমিন দেখা যায়, খাগড়াছড়ির আলুটিলার ত্রিপুরাপাড়ায় ঝলমলে আলো। এখানকার সুজাতা ত্রিপুরার এক ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি বলেন, আগে এখানে বিদ্যুৎ ছিল না। আমার বাচ্চাদের পড়াশোনায় সমস্যা হতো। বিদ্যুৎ আসায় বাচ্চারা রাত জেগে পড়তে পারছে। আমাদের খুব ভালো হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবে, গেল এক দশকে খাগড়াছড়িতে ৫২ হাজারেরও বেশি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সঞ্চালন লাইন তৈরি হয়েছে ১ হাজার কিমি। বাকি দুই পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে ৪৫ হাজার গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এখানকার ৬৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় এসেছে। বান্দরবানেও ৬৫ শতাংশ মানুষ এসেছে বিদ্যুৎ সেবার আওতায়। এখানে ৩২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আর দুর্গম এলাকায় যাচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। ইতোমধ্যে সৌরবিদ্যুতের আওতায় এসেছে ১১ হাজার পরিবার। নতুন আরও ৪০ হাজার পরিবার আসবে এ কাজের আওতায়। খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ আসাতে আধুনিক সব প্রযুক্তিও পৌঁছেছে পার্বত্য এলাকায়। শুধু দিনবদল নয়; সুযোগ তৈরি হয়েছে আয়েরও। ছোট ছোট কল-কারখানা, বৈদ্যুতিক চার্জে চলে এমন যানবাহন চালানোও অনেকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
পাহাড়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ শেষ। প্রকল্পের আওতায় ১২টি উপকেন্দ্রের কাজও শেষের দিকে।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান, পার্বত্য এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রকল্প চলমান আছে। আশা করি শিগগিরই আমরা পার্বত্য এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারব। বান্দরবান জেলা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চিং হলা মং মারমা বলেন, যেখানে এখনো সংযোগ পৌঁছেনি আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনার জন্য।
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: পরিবেশমন্ত্রী
- বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ রাষ্ট্রপতির
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- সম্ভাব্য ১৫১ জিআই পণ্যের তালিকা প্রস্তুত
- টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে সরকার
- সম্পদ অর্জনে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানরা
- সারাদেশে ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি, বজ্রপাতে ১২ মৃত্যু
- উপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র্যাব বিজিবি
- ইসরাইলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র
- সবার দৃষ্টি উপজেলায়
- উপজেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- জনচাহিদা মাথায় রেখে কাজ করুন
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়াদের সংগ্রামী জননেতা
- আজ ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী
- প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ
- প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন
- সুন্দরবনে পুন:অগ্নিকান্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং
- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে
- প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী: টিআইবি
- সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি বিল-২০২৪ উত্থাপন
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সমাবেশ
- বিগত ৫ বছরে নন-ক্যাডার পদে ৭,৪৪৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে
- সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত