• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

ঘূর্ণিঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেল দুই শতাধিক ট্রলার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৪  

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি, মৎস্য, গাছপালার ক্ষতির পাশাপাশি মাছ ধরা ট্রলারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ট্রলার বিধ্বস্ত হয়। এতে ক্ষতি হয়েছে দুই শতাধিক জেলে পরিবার।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে ব্যাপক প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষতি হলেও তুলনামূলক রেমালে ক্ষতি বেশি হয়েছে। তবে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে গভীর বঙ্গোপসাগরের প্রচুর পরিমাণে ট্রলার যেমন ক্ষতি হতো তেমনি প্রাণহানিও হতো বলে মনে করেন মৎস্যজীবীরা।

পাথরঘাটা উপজেলা ঘূর্ণিঝড় রেমালে কৃষি, মৎস্য, ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতির পাশাপাশি মাছ ধরা ট্রলারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবশেষ তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিষখালী ও বলেশ্বর নদে নোঙর করে রাখা ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলার দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রায় শতাধিক ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিষখালী নদীর ছোনবুনিয়া এলাকায় নোঙর করে রাখা ২৫টি ছোট ছোট মাছ ধরার ট্রলার পানির চাপে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। প্রতি ট্রলারেই জাল ছিলো। বিষখালী নদী সংলগ্ন কাকচিড়া, মাঝের চর, ছোনবুনিয়া, কাশমেঘা, কূপধন, বলেশ্বর নদ সংলগ্ন গাববাড়িয়া, দক্ষিণ চরদুয়ানী, টেংরা, তাহার বাড়িয়াসহ একাধিক জায়গায় নোঙর করা ট্রলার বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরা বড় ট্রলার খলিলুর রহমানের মালিকানা এফবি লিমা ট্রলারটিও সম্পূর্ণ ভেঙে যায়।

জেলে জামাল হোসেন, বাবুল হোসেন, মনির হাওলাদার, ফারুক হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিনই ঘাটে ট্রলার নোঙর করে রেখেছি। রাতে ঝড়ে আমাদের ট্রলার দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অনেক ট্রলার সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়ে গেছে। একমাত্র উপার্জনের পথ ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেলাম।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বিষখালী ও বলেশ্বর নদে থাকা প্রায় দুই শতাধিক ছোট মাছ ধরা ট্রলার দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রতি জেলে পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ট্রলারটি বিধ্বস্ত হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে গভীর বঙ্গোপসাগরের প্রচুর পরিমাণে ট্রলার যেমন ক্ষতি হতো তেমনি প্রাণহানিও হতো।  

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল