প্রতি ভোট ১৫০০ টাকা দরে ক্রয়ের নির্দেশ, এটাই কি তারেকের গণতন্ত্র?
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮
যতই দিন যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান সময়ে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত তাদের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে।
বিএনপির নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে সম্প্রতি লন্ডনে অবস্থানরত দলটির উপদেষ্টা পরিষদের বেশ কিছু সদস্য এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতার সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান।
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালেক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মামুন সহ বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির নয় জনের সাথে তারেক রহমানের একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তারেকের লন্ডনের বাসায়। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সময়ে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান এবং বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে অংশ নেওয়া একটি সূত্র জানায়, আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ৩টি প্রধান নির্বাচনী কৌশল গৃহীত হয়। বৈঠকে নির্ধারিত নির্বাচনী কৌশলের প্রধান একটি কৌশল হচ্ছে ভোট বাণিজ্য। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ভোট প্রতি তিন হাজার ঠিক করার প্রস্তাব দিলেও তারেক ভোট প্রতি এক হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেন, যাতে করে পরবর্তীতে বিশেষ প্রয়োজনে খরচ করার জন্য পর্যাপ্ত টাকা বরাদ্দ থাকে।
বৈঠকে ঠিক হওয়া বিএনপির নির্বাচনী কৌশলের আরেকটি প্রধান এবং ভয়ানক কৌশল হচ্ছে নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে দেশে নাশকতা এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপির নিজস্ব নেতা-কর্মী সহ ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তৃতীয় শক্তি হিসেবে জঙ্গী সংগঠনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তৃতীয় শক্তি হিসেবে জঙ্গী সংগঠনকে বেছে নেওয়ার একটি প্রধান কারণ হিসেবে তারেক উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়। ফলে তারেক কোনোভাবেই তাদের উপর ভরসা করতে পারছেন না।
এসময় তৃতীয় শক্তি হিসেবে হিযবুত তাহরীর, হরকাতুল জিহাদ সহ আরো কয়েকটি জঙ্গী সংগঠনের ব্যবহারের প্রস্তাবনা আসে। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে হিযবুত তাহরীরকে তৃতীয় শক্তি হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি হিযবুত তাহরীরকে সহযোগিতার জন্য আইটি এক্সপার্ট, কেমিক্যাল এক্সপার্ট সহ বিভিন্ন ধরণের জনশক্তি নিয়োগেরও পরামর্শ গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, হিযবুত তাহরীর বিশ্বব্যাপী এক আতঙ্কের নাম। এই জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের রাসায়নিক, জীবাণুনির্ভর ও জীববিজ্ঞানভিত্তিক যুদ্ধশাস্ত্রের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এমনকি আইএস এর চেয়েও বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে এই সংগঠনটি। এমন আভাস দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী কাউন্টার টেররিজম এক্সচেঞ্জ (সিটিএক্স)।
তাছাড়া অর্থের বিনিময়ে বিদেশী গণমাধ্যম এবং বিদেশী বিভিন্ন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে ব্যবহার করে নির্বাচনী সুবিধা আদায় করাকেও বিএনপির অন্যতম নির্বাচনী কৌশল হিসেবে গৃহীত হয় উক্ত বৈঠকে।
মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত প্রায় দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন হতে প্রাপ্ত (যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ হতে জানা গেছে) প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা সহ মোট ১৫ হাজার কোটি চার ভাগে খরচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একটি অংশ খরচ করা হবে ভোট বাণিজ্য করার জন্য, যেসব নির্বাচনী এলাকার ভোটার তুলনামূলকভাবে অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল সেই সব নির্বাচনী এলাকায় এই ভোট বাণিজ্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
১৫ হাজার কোটি টাকার আরেকটি অংশ ব্যয় করা হবে নির্বাচন বানচাল করা এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হিযবুত তাহরীর মতো জঙ্গী গোষ্ঠীর মাধ্যমে দেশে নাশকতা সৃষ্টির জন্য।
বিদেশী গণমাধ্যম সহ বিদেশী বিভিন্ন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের মাধ্যমে নির্বাচনী সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে মনোনয়ন বাণিজ্য এবং আইএসআই থেকে পাওয়া বিএনপির নির্বাচনী বাজেটের একটি অংশ ব্যয় করার পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে।
১৫ হাজার কোটি টাকার বাকি অংশ তারেক নিজের কাছেই রাখবেন এবং এই টাকা তিনি নির্বাচনে বিশেষ প্রয়োজনে নির্বাচনী গেম্বলিং করার কাজে ব্যবহার করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে দেশে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির কয়েকজন নেতা এবং উপদেষ্টা পরিষদের একাংশকে নিয়ে তারেক নির্বাচনী কৌশল ঠিক করায় দেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতা-কর্মীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, তারেক সাহেব আবারো নাশকতার পরিকল্পনা করে মূলত বিএনপির চূড়ান্ত অধঃপতন ডেকে আনছেন। এর আগে তারেক সাহেবের প্রত্যক্ষ মদদে জেএমবির মতো জঙ্গী গোষ্ঠীর উত্থান হওয়ার কারণে গত ১২ বছর ধরে খেসারত দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
এসব কুকর্ম নিয়ে দলে এমনিতেই ক্ষোভের অন্ত ছিল না। দলের সিনিয়র নেতারা তারেকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। আড়ালে আবডালে সকলেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
দেশে একদিকে চলছে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা, অন্যদিকে নাশকতা-সন্ত্রাসের ভয়াল ছক। কোনদিকে যাবে দেশবাসী? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
দেশের মানুষ যেখানে সমুদ্র এবং মহাকাশ বিজয়ের পর উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন সেখানে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের কর্ণধার দেশকে নাশকতার দিকে ঠেলে দেয়ার স্বপ্ন দেখছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতার মসনদটি দখল করার জন্য দেশকে যারা সন্ত্রাসবাদ আর নাশকতার দিকে ঠেলে দিতে দ্বিধাবোধ করে না, তাদের হাতে কতটা নিরাপদ এই বাংলাদেশ? এই প্রশ্ন থেকেই যায় ।
- বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ
- অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
- উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- কুড়িগ্রামে সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: পরিবেশমন্ত্রী
- বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ রাষ্ট্রপতির
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- সম্ভাব্য ১৫১ জিআই পণ্যের তালিকা প্রস্তুত
- টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে সরকার
- সম্পদ অর্জনে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানরা
- সারাদেশে ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি, বজ্রপাতে ১২ মৃত্যু
- উপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র্যাব বিজিবি
- ইসরাইলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র
- সবার দৃষ্টি উপজেলায়
- উপজেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- জনচাহিদা মাথায় রেখে কাজ করুন
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়াদের সংগ্রামী জননেতা
- আজ ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী
- প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ
- প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল