নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের আমৃত্যু, ৫ জনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একই মামলায় আরো পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়ারচর এলাকার ইদ্রিস চকিদারের স্ত্রী সালেহা বেগম এবং কোতয়ালের বাগ এলাকার বিল্লাল মুন্সীর ছেলে মনির হোসেন। তাদের মধ্যে সালেহা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং মনির হোসেন পলাতক।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফতুল্লার কোতয়ালের বাগ এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. কাজল মিয়া, লাল খাঁ এলাকার আবেদ আলীর ছেলে মো. জুয়েল, কোতয়ালের বাগ এলাকার মো. আব্দুল ছালামের ছেলে নুরুল ইসলাম, বরগুনা জেলার আব্দুল ছালামের মাজেদুল ইসলাম মঞ্জু ও যশোর জেলার আবুল কাশেমের ছেলে লিটন।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মনির হোসেনসহ তাদের সবাইকে একই মামলার অন্য একটি ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল ফতুল্লা থানার দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় এক আসামি ছাড়া সবাই অনুপস্থিত ছিলেন।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শিপ্রা মোদক জানান, ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া কবির হোসেন (৩৫) বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরের দিন সকালে বাসার পাশে একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার  স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালত সেই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার রায় ঘোষণা করেছেন।