• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা ঈদে সরকারি ছুটির সমান ছুটি পাবেন শ্রমিকরা

প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২০  

পৃথিবীতে কালে কালে দেশে দেশে বহু মহামানব এসেছেন, যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে বহু রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধিত হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেইসব মহামানবের মধ্যে অন্যতম। বাঙালির দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারতেন বলেই তিনি বঙ্গবন্ধু। তিনি জাতির পিতা, কারণ এ জাতির কল্যাণের কথা তিনি শুধু চিন্তাই করেননি, সে অনুযায়ী আজীবন কাজও করে গেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিণত করা। তিনি জানতেন যেভাবে পৃথিবী পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন নতুন তথ্য-প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে, বাংলাদেশকেও সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে। তাই তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করতে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাধীন করার পরপরই তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে। কিন্তু ১৫ আগস্ট ’৭৫-এর ঘাতক নরপিশাচরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর সকল স্বপ্নকেও হত্যা করে। তাঁরই দেখানো পথ ধরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করছেন। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজকের বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে পূর্বের তুলনায় অনেক এগিয়ে, কিন্তু দেশকে আজকের এই অবস্থানে আনার মূল বীজ বপন করেছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই স্বপ্নের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ।

 

বর্তমানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর প্রভূত উন্নতির কারণ যদি অনুসন্ধান করা হয় তাহলে দেখা যায় যে তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তারা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করে চলেছে। এই বিষয়টি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করতে পেরেছিলেন অনেক আগেই। আর তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরই তিনি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন। সেই লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন, যার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই -খুদা। এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন শিক্ষাব্যবস্থা, যার মাধ্যমে শুরু থেকেই দেশের ছোট্ট শিশু কিশোরেরা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠে। আর তাই ১৯৭২ সালের সংবিধানে শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতেন, যাতে করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু তাঁর এই চিন্তাধারার প্রকাশ করেন ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের সময়ে দেওয়া একটি ভাষণে। তিনি সে ভাষণে বলেন, ‘Only 80% of our boys and 6% of our girls complete the first five years of elementary school. We believe at least 4% of the gross national product should be committed to education. Salary of the college and school teachers, particularly school teachers, must be substantially increased. Illiteracy must be eradicated by adopting an extraordinary method. A crash program must be launched to extend free compulsory primary education to all children within five-years. Secondary education should be made readily accessible to all section of our people. New universities, including medical and technical universities, must be rapidly established. Poverty should not be allowed to deprive meritorious boys and girls of the opportunity to pursue higher education.’ এ থেকেই বোঝা যায় তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে কতটা উন্নতি সাধন করতে চেয়েছেন এবং প্রয়োজনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারেও জোর দিয়েছিলেন। যদিও তিনি তা সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব আমরা সবাই অনুধাবন করতে পেরেছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে তথ্য আদান প্রদান হচ্ছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। অফিসের কাজ, ব্যবসা, লেনদেন, কৃষি, চিকিৎসা, শিক্ষা ক্ষেত্রসহ প্রাত্যহিক জীবনের বহু কাজ কত দ্রুত আর সহজেই হয়ে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে। আমরা এখন এতটাই তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছি যে একটা দিনও আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া চলতে পারি না। আমরা এখন যা বুঝতে পারছি, বঙ্গবন্ধু তা অনুধাবন করেছিলেন বহু বছর আগেই। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন হয় তখন বিশ্বে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের যুগ চলছিল। বঙ্গবন্ধু এই শিল্প বিপ্লবের যুগে পিছিয়ে থাকতে চাননি। সেজন্যই দেশের মানুষ যাতে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে International Telecommunication Union (ITU)-এর সদস্যপদ লাভ করে। শুধু তাই নয়, তিনি বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র নির্মাণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন। যার ফলে বাংলাদেশ সহজেই বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে। একটি দেশের উন্নতিতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা অত্যাবশ্যকীয়, যা বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টির কারণে এর সুফল আমরা ভোগ করছি।

 

আমাদের দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৬১ সালে পাবনা জেলার রূপপুরে। কিন্তু প্রকল্পটি অনিবার্য কারণে স্থগিত হয়ে যায়। ‘স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থগিত হয়ে যাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০২৫ সাল নাগাদ ২৭টি দেশে ১৭৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এগুলোর মধ্যে ৩০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নির্মাণ করা হবে পরমাণু বিশ্বে নবাগত দেশগুলোয়, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

 

এসবই তিনি করেছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হবার তিন বছরের মধ্যে। আমরা এতটাই অভাগা যে তাঁর মতো একজন মহামানবকে ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। যার নিদর্শন আমরা দেখতে পাই যখন বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম যোগাযোগ উপগ্রহের মালিকানা লাভ করে। এই স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু-১’। এই স্যাটেলাইটের কারণে দেশ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট (৪জি) সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে। রিমোট লার্নিং বা দূরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বাসা থেকে অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হয়েছে, যা এই করোনাকালীন সময়ে আমাদের উপকারে এসেছে। সব থেকে বড় কথা, পুরো বিশ্বই এখন মানুষের হাতের মুঠোয় যেন। শুধু মাত্র স্মার্টফোন ব্যবহার করেই যেকোনও স্থান থেকে ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণ সহজ হয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছি।

 

বর্তমানে বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে যেখানে প্রকৃতি, প্রযুক্তি এবং মানুষ এই তিনের সমন্বয় ঘটিয়েই বিশ্ব এগিয়ে যাবে আরও উন্নতির দিকে। মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রাদির সমন্বয়ে বাস্তবতা এবং ভার্চুয়াল জগৎকে অনেকটাই একত্র করতে প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনেক নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এখন থেকেই শিক্ষার্থীদের সংবেদনশীল, শারীরিক, সামাজিক এবং context ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে অবগত করা বাঞ্ছনীয়। এই শিল্প বিপ্লবের যুগে সবাইকেই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন পেশার মানুষের যার যার ক্ষেত্রে সর্বক্ষণই নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করে নিজেদের দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে, যা বর্তমানে এদেশের মানুষ অর্জন করছে।

 

বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থে চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথাই শুধু বলেননি বরং এই ভ্রমণের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার দালাল চিয়াং কাইশেকের নির্যাতন-নিপীড়নকে পরাভূত করে চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা মাও সে তুং-এর হাত ধরে নয়া চীনে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, ধনী-গরিবের ভেতর যে সমতা এসেছে, একটা শোষণমুক্ত সমাজ গঠিত হয়েছে; সেসব পর্যালোচনার আলোকে বাংলাদেশকেও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখেছিলেন। মাত্র তিন বছরের মধ্যে চীনের শিক্ষা ব্যবস্থায় আসে আমূল পরিবর্তন। সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছিল। এজন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে চীন ভ্রমণে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের মতো কেরানী পয়দা করার শিক্ষাব্যবস্থা আর নাই। কৃষি শিক্ষা, শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনিক্যাল শিক্ষা দেয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’ বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর লেখায় নানকিংয়ে সান ইয়াৎ-সেনের কবর পরিদর্শনে গিয়ে উল্লেখ করছেন—‘আমার কিন্তু পুরানো আমলের ভাঙা বাড়ি দেখার ইচ্ছা ছিল না। কারণ আমি দেখতে চাই কৃষির উন্নতি, শিল্পের উন্নতি, শিক্ষার উন্নতি, সাধারণ মানুষের উন্নতি।’

 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের জীবন মানকে আরও সহজতর করে দেওয়া। মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি, থ্রি ডি, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং আরও অনেক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে অনেক ক্ষেত্রেই । এসব বিষয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ইতোমধ্যেই কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং বিশ্বে ১২তম মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১৯ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বিকাশমান দেশ। এসব বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নব যুগের সূচনা ঘটাবে, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

 

বঙ্গবন্ধু প্রায় ৪৮ বছর আগে যা যা ভেবেছিলেন বিশ্ব এখন অনেকটা ওই পথেই হাঁটছে। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য শিক্ষা এবং তার জন্য কাজও করে গেছেন। চাইতেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আধুনিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিনি আরও চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ যেন বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুনভাবে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে পারে। তিনি চেয়েছিলেন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ কোনোভাবেই যেন পিছিয়ে না থাকে। বাংলাদেশের জনশক্তি যাতে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে সেই চেষ্টা তিনি করে গেছেন। এসব কিছুর জন্য তিনি কাজও করে গিয়েছেন কিন্তু অনেক কিছুই তিনি করে যেতে পারেননি, কারণ তাকে চলে যেতে হয়েছে খুব আকস্মিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই। তিনি হয়তো আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, তাঁর দিকনির্দেশনা এখনও আছে। এই দিকনির্দেশনা নিয়েই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক ‘সোনার বাংলা’। আজকের বাংলাদেশের মুকুটে সাফল্যের যে সকল পালক যুক্ত হয়েছে, বঙ্গবন্ধুই সে সকল স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন, বঙ্গবন্ধু থাকবেন আমাদের সকল বিজয়ে, সকল অনুপ্রেরণায়।

 

লেখক: 

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনঃ

অধ্যাপক; তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) 

এবং পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল