• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

টেকনাফে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

কক্সবাজারের টেকনাফে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ইজিবাইক চালক মোস্তাক মিয়া হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উখিয়া এলাকার টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদ, মাস্টার মাইন্ড মো. আব্দুর রহিম (১৯), আব্দুল আমিন পুতিয়া (১৬), সহায়তাকারী ওমর ফারুক (২৪), সাদেকুর রহমান (২১) ও নুরুল আমিন (৪৩)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি। তিনি জানান, তারই নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আসামিদের গ্রেফতার ও আলামত জব্দ করে। ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে তারা। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল-এর নেতৃত্বে অফিসার ফোর্সসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর এই ক্লুলেস হত্যা মামলার মাস্টার মাইন্ড মো. আব্দুর রহিম ও আব্দুল আমিন পুতিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমের টমটম গাড়ীটি বিক্রয়ের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী আসামী ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী আব্দুর রহিম টেকনাফ উপরের বাজার মন্দিরের সামনে থেকে ভিকটিম মোস্তাক মিয়ার টমটমটি নিয়ে অলিয়াবাদ ৪নং ওয়ার্ড তিন রাস্তার মোড়ে জগিরের বাড়ীর পাশে নিয়ে যায়। পরে আসামী আবদুর রহিম প্রথমে লোহার রড দিয়ে ভিকটিমের মাথায় বারি মারেন। ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামী আব্দুর রহিম ও আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা আব্দুল আমিন পুতিয়া ভিকটিমকে টমটমে করে কায়ুকখালী খালের নিকটবর্তী খালি মাঠে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কাঁধে করে খাল পাড়ে নিয়ে গিয়ে একটা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর কাদা মাটিতে ভরে ভিকটিমের গলায় বেঁধে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ কায়ুকখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়। সেখান থেকেই মোস্তাক মিয়ার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত সকল আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল