• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আল জাজিরার প্রতিবেদন: অল তারেকস ম্যান

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  


গতরাতে আল-জাজিরায় বাংলাদেশ বিষয়ক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘অল প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে তথাকথিত এই অনুসন্ধানী রিপোর্টটির ব্যাপ্তি এক ঘন্টার কিছু বেশি। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এতো দীর্ঘ সময়ের প্রতিবেদন কিছু হাওয়াই অভিযোগ নিয়ে চর্চা করা হয়েছে। যেকোনো সত্যনিষ্ঠ অনুসন্ধিষ্ণু দর্শক দীর্ঘ প্রতিবেদনটি গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বুঝবেন, সত্যান্বেষ নয় বরং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার জন্যই এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রামাণ্য চিত্রে যে সব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তা একজনের বরাতে তিনি হলেন সামি। চাতুর্যের সঙ্গে তার পুরো নাম এবং পরিচয় গোপন করা হয়েছে সামির। সামির পুরো নাম সামিউল আলম। ২০০২ সালে ইউরোপ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অন্যতম বিজনেস পার্টনার। হাওয়া ভবনে তারেক জিয়ার অন্যতম সহযোগী। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনে মোষ্ট ওয়ানটেড দুর্নীতিবাজদের অন্যতম। তার বক্তব্যেই এই প্রামাণ্য চিত্রের মূল উপজীব্য। 

তিনি নিজেই একজন প্রতারক এবং দুর্নীতিবাজ। এই প্রামাণ্যচিত্রে দুজন বক্তব্য রেখেছেন একজন বিতর্কিত নেত্র নিউজের তাসনিম খলিল। অন্যজন যুদ্ধাপরাধীদের এজেন্ট এবং তারেক জিয়ার বেতনভুক উপদেষ্টা, ড: কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। এদের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, এরা সরকার বিরোধী প্রোপাগান্ডা মিশনে নেমেছেন। এই প্রামাণ্য চিত্রে আরো একজনের কন্ঠস্বর শোনা যায়, যিনি তার চেহারা দেখাননি, তিনি হলেন কনক সারওয়ার। কনক সারওয়ার সরাসরি তারেকের কর্মচারী। তারেকের নির্দেশেই এই প্রামাণ্য চিত্রটা দেখলেই বোঝা যায়, লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া প্রযোজিত এই প্রোপাগান্ডা প্রামাণ্য চিত্রটি। 

তারেক জিয়ার অনুগতরা মিলে এটি বানিয়েছে। তথ্য উপাত্ত না থাকলেও, প্রামাণ্য চিত্রে ফিল্মী কায়দায় সুপার এডিটিং আছে, আছে ভয়েজ টেম্পারিং। বিপুল ব্যয় হয়েছে প্রামাণ্য চিত্রটি নির্মাণে।  বাংলাদেশ ছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হাঙ্গেরি এবং ফ্রান্সে এর শ্যুটিং হয়েছে। তবে সব অপরাধীই অপরাধের একটা করে প্রমাণ রাখে। এই প্রামাণ্য চিত্রে এরকম অসংখ্য অসংগতি আছে। প্রামাণ্য চিত্রটা যে উদ্দেশ্য পূর্ণ তার বেশ কিছু প্রমাণ আছে। প্রামাণ্য চিত্রের শুরুতেই হারিছ কে বলা হয়েছে ‘সাইকোপ্যাথ’। মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তির কোন বক্তব্যই বিবেচনার দাবি রাখে না, এই তথ্য বোধহয় তারেকের অনুগত পেটোয়া তথাকথিত সাংবাদিকরা বোঝে নাই। এখানে তারেক জিয়ার বিজনেস পার্টনার, ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানকে এনে আরেকটা কাঁচা কাজ হয়েছে। সবাই বুঝেছে, একজন দুর্নীতিবাজের টাকায় আরেকজনকে দুর্নীতিবাজ বলার চেষ্টা হয়েছে এই প্রামাণ্য চিত্রে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল