• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে সরকার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৪  

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গভীর ও অগভীর সমুদ্রের ২৪টি ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অবশোর মডেল প্রডাকশন শেয়ারং কন্ট্রাক্ট-২০২৩ এর ভিত্তিতে ‘অবশোর বিডিং রাউন্ড’র আওতায় গভীর ও অগভীর সমুদ্রের ২৪টি ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ১০ মার্চ এজন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিনি আরও বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট নিরসনে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে নতুন ক‚পের খোঁজে আরও নতুন ক‚প খননের নিমিত্ত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলা কর্তৃক নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৮টি ক‚প খনন ও ওয়ার্কওভারের (৩২টি ক‚প খনন ও ১৬টি ওয়ার্কওভার) পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যার সফল বাস্তবায়নে দৈনিক আনুমানিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। বর্ণিত কূপগুলোর মধ্যে ১১টি ক‚প খনন ও ওয়ার্কওভারের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে (৭টি খনন-ভোলা নর্থ-২, টবণি-১, ইলিশা-১, শ্রীকাইল নর্থ-১, শরীয়তপুর-১, সিলেট-১০ ও সুন্দলপুর-৩ : ৪টি ওয়ার্কওভার তিতাস-২৪, বিয়ানীবাজার-১, কৈলাশটিলা-২, রশিদপুর-২) পাশাপাশি ৪টি কৈলাশটিলা-৮, তিতাস-১৪, রশিদপুর-৫ এবং বেগমগঞ্জ-৪) ক‚পের খনন ও ওয়ার্কওভারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৫-২৮ সময়ে নতুন নতুন কূপ খনন কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দেখে এযাবৎ সম্পাদিত সব সিসমিক জরিপের তথ্য সংবলিত সিসমিক কাভারেজ ম্যাপ প্রণয়ন করতে আহরিত সিসমিক জরিপ তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণপূর্বক দেশের ভোলা অঞ্চল, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হিট জোন অঞ্চল, সিলেট অঞ্চল, অফশোর ব্লক ৮ এবং ১১, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার অঞ্চলে ৬৯টি কূপ খননের লোকেশন চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩১টি কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন জায়গায় কূপের লোকেশন চিহ্নিত করণের নিমিত্ত ২ডি ও ৩ডি সিসমিক জরিপ সম্পাদনের জন্য বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল কর্তৃক নয়টি প্রকল্প গ্রহণ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যা বাস্তবায়নের কার্যক্রম কোম্পানি পর্যায়ে চলমান রয়েছে। দিনে গড়ে ৪০০ থেকে ৪২৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে: মোহাম্মদ হুছামুদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। যা থেকে দিনে ও পিক আওয়ারে গড়ে ৪০০ থেকে ৪২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) মাধ্যমে পরিচালিত ‘ন্যাশনাল ডাটাবেজ অব রিনিউবল এনার্জি’র আওতায় বর্তমানে সারা দেশে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পকারখানা বা অন্যান্য স্থানে নেট মিটারিং সিস্টেমের আওতায় মোট ১০২.১৮৮ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২২৭৪টি সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নেট মিটারিং সিস্টেম ছাড়া মোট ৭৯.৫৩২ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২৪৭টি সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম চালু রয়েছে। পিডিবির বকেয়া ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা : মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মোট বকেয়া জমেছে ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সরকারি, বেসরকারি ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি পিডিবির কাছে এই টাকা পাবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরকারি, বেসরকারি, যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত উৎপাদন কোম্পানি এবং আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্রয় করে তা বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির কাছে বিক্রয় করে। সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। বেসরকারি বিদু্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। তিনি বলেন, একই সময়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল