• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা আহত ৫

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০  

উল্লাপাড়ার জগজীবনপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী সুলতান মাহমুদের পরিবারের উপর সন্ত্রাসি হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই পরিবার। এ ব্যাপারে তিনি সলংগা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

 

সুলতান মাহমুদ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, তার গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে গ্রামের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোলযোগ চলছিল। চাকরির কারণে দীর্ঘদিন বাহিরে থাকায় তিনি তার জমিজমার সুরক্ষা করতে পারেননি। বাড়ি ফিরে আসার পর এইসব বিষয় নিয়ে তার বিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে গোলযোগ বাঁধে। গত ৫ জুন  তার গোষ্ঠীর সরোয়ার হোসেন তার লোকজন নিয়ে রামদা, লোহার রড, লাঠি, ফলা প্রভৃতি নিয়ে তার বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার স্ত্রীর চুল ধরে কিল ঘুষি মারে এবং তাকে বিবস্ত্র করে। তিনি ঠেকাতে গেলে তাকেও বেধড়ক পেটানো হয়। এসময় তার ছেলে রুহুল আমিন বাড়িতে ঢুকলে হামলাকারীরা তার উপরও আক্রমন চালায়। তারা রুহুল আমিনের পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় গ্রামের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সরোয়ার হোসেন উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। গুরুতর অবস্থায় সুলতান মাহমুদ তার ছেলে রুহুল আমিন, তার স্বজন নুরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, শফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ৯ জুন সলংগা থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সুলতান মাহমুদের ছেলে রুহুল আমিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের অন্য সদস্যগণ বাড়ি ফেরার পর সরোয়ার হোসেন ও তার লোকজন আবারও তাদেরকে মারপিট ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে এখন দিন কাটছে তাদের।

 

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। তবে তসরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

 

এ ব্যাপারে সলংগা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আসলাম হোসেন জানান, সুলতান মাহমুদের দেওয়া মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। মূল আসামী সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জনকে এ বিষয়ে নিয়মাফিক একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুলতান মাহমুদের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবে। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল