• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

এক দিন বিশ্ব বাজার দখল করবে বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্প

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৩  

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, এগিয়ে যাচ্ছে দেশের স্বর্ণ শিল্প। এ খাতে আসছে নতুন বিনিয়োগ। হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান। আমরা আশা করছি, ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই আমরা রফতানি শুরু করতে পারব। এটা আমাদের একটি লক্ষ্যমাত্রা। তবে যদি সরকারের ঠিকমতো সহযোগিতা এবং সঠিক পলিসি পাই তা হলে অবশ্যই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এ শিল্পের প্রসারে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মেলায় অংশ নেব। এর আগে আমরা ১৯৯৫ সাল থেকে অনেক মেলায় অংশ নিয়েছি। তখন আমরা দেখেছি বিশ্ব বাজারে আমাদের দেশের তৈরি গহনার অনেক চাহিদা রয়েছে, কিন্তু আমরা বাজার ধরতে পারিনি। কারণ আমাদের দেশে তৈরি 

এখন আমরা কম দামে ভালো মানের গহনা তৈরি করব। এভাবে আমরা এক দিন বিশ্ব বাজারও দখল করব স্বর্ণ শিল্প দিয়ে। সম্প্রতি সময়ের আলোকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। 

দেশের স্বর্ণ শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এখন জুয়েলারি শিল্পে মন্দা চলছে। এর কারণ হলো অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি। বিশ্ব বাজারে অনেক দাম বেড়েছে স্বর্ণের, তার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। দাম বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণও আছে। প্রথমত, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। এ জন্য অনেক দেশ স্বর্ণ মজুদ করেছে। কোন দেশের অর্থনীতি কখন কি অবস্থা হয় বলা মুশকিল। এ জন্য চীন, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই স্বর্ণ মজুদ করে রাখা হচ্ছে। স্বর্ণ মজুদের কারণ হচ্ছে- সবাই জানে স্বর্ণ মজুদ করলে যত দিন যাবে দাম বাড়বে ছাড়া কমবে না। সভ্যতা যত দিন আছে, মানুষ যত দিন আছে- স্বর্ণ তত দিন কাজে লাগবেই। তাই স্বর্ণ মজুদ করে রাখা হচ্ছে। কারণ বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে স্বর্ণ। এ কারণে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে গেছে, কিন্তু সে তুলনায় খনি থেকে স্বর্ণ তোলা হচ্ছে কম। যেটুকু তোলা হচ্ছে তাও অনেক গভীর থেকে তোলা হচ্ছে। এসব কারণে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেমন সহজলভ্য ছিল স্বর্ণ এখন আর তেমন নেই। ২০০৩ সালের দিকেও বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল মাত্র ২২৫ ডলার। এখন তার দাম হয়েছে ২ হাজার ডলারের ওপরে। বিশ্ব বাজারে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই দেশের স্বর্ণের বাজার এত টালমাটাল। দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও ব্যবসাটা চলছে, আমরা ধরে রেখেছি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বর্ণ কিন্তু এখন বিশ্বে শুধু গহনা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে তা কিন্তু নয়। ইলেক্ট্রোপ্লেটের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপকরণ হচ্ছে স্বর্ণ। স্বর্ণের ভেতর দিয়ে ইলেকট্রন খুব ভালোভাবে যেতে পারে। অন্য কোনো মেটাল দিয়ে এত স্বচ্ছভাবে যেতে পারে না। স্বর্ণের এই ইলেক্ট্রোপ্লেট এখন অনেক দামি দামি ইলেকট্রনিক্স পণ্যে ব্যবহার হচ্ছে। যেমন কম্পিউটার, দামি মোবাইল, দামি ইলেকট্রনিক্স চিপ, বিমানের ইঞ্জিন, মিসাইল, ড্রোন, স্যাটেলাইট, চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক সরঞ্জাম, দামি দামি গাড়ির ইঞ্জিনেও ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং এ রকম বিভিন্ন খাতে এখন স্বর্ণের ব্যবহার বেড়েছে। আগে এগুলোতে ইউরেনাম, প্লাটিনাম ব্যবহার করা হতো, কিন্তু স্বর্ণের তৈরি প্লেট দিয়ে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস মিলছে। এসব নতুন নতুন খাতে স্বর্ণের ব্যবহার হওয়ায় বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের ব্যবহার বেড়ে গেছে। তাই আমরা দেশের গ-ি পেরিয়ে এখন নজর দিচ্ছি বিশ্ব বাজারের দিকে।
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল