• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

বাকিতে বেচাকেনায় মূল্য পরিশোধের ওয়াজিব বিধান

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় বাকিতে বেচাকেনার প্রয়োজন পড়ে। বহুমূল্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যও আমরা প্রায়ই বাকিতে কিনে থাকি।
ইসলামে বাকিতে বেচাকেনা বৈধ। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ ধরনের লেনদেন লিখে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন- یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا تَدَایَنۡتُمۡ بِدَیۡنٍ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی فَاکۡتُبُوۡهُ

অর্থ: ‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরস্পর ঋণের লেনদেন করবে, তখন তা লিখে রাখবে’। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৮২)

বাকি বেচাকেনায় মূল্য পরিশোধের সময়সীমা নির্দিষ্ট হওয়া উচিত। এ আয়াতে আল্লাহ নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিতে কোনো সময়সীমা নির্ধারিত হলে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা গণ্য হবে।

বড় ধরনের কেনাবেচায় সময়সীমা নির্ধারণ করলেও মুদিপণ্য বা এ ধরনের ছোটখাটো জিনিস বাকিতে কিনে আমরা সাধারণত সময়সীমা নির্ধারণ করি না। সেক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা নিয়ে মতবিরোধের আশংকা থেকে যায়।

ইসলামি আইনবিশারদরা বলেন, বাকি কেনাবেচায় কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা না হলে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা এক মাস গণ্য হবে। এক মাসের মধ্যে ক্রেতার ওপর মূল্য পরিশোধ করে দেওয়া ওয়াজিব, কোনো অসুবিধা না থাকলে টালবাহানা করা জায়েজ নয়। এক মাসের মধ্যে ক্রেতা মূল্য পরিশোধ না করলে বিক্রেতা তার কাছে জোর দিয়ে মূল্য দাবি করতে পারবে বা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। তবে বিক্রেতা চাইলে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল