• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রৌমারীতে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৩  

ব্রহ্মপুত্র নদে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী, বন্দবেড় ও যাদুরচর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানিবৃদ্ধি হয়ে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের নয়ারচর, ডিগ্রিচর, চরঘুঘুমারী, নামাজেচর, সুখেরবাতি, মিয়ারচর, খনজনমারা, বাইশপাড়া, বলদমারা, ফলুয়ারচর, পালেরচর, বাঘমারা, কান্দাপাড়া, চাক্তাবাড়ি, দিগলেপাড়া, ধনারচর পশ্চিমপাড়া, কাটিয়ামারী, কোমড়ভাঙ্গি, শিবেরডাঙ্গিসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ৪ হাজার ৩’শ পরিবারের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে এবং ৪০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় আসাম রাজ্যের পাহাড়ি ঢল ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে নেমে আসে। বন্যার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি হওয়ায় ব্রহ্মপত্র নদের কিনার উপচে গিয়ে ওইসব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ওইসব এলাকার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে ওই এলাকার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকা বা ভেলা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পারাপার হচ্ছে। নদের কিনারে অবস্থিত ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নৌকা দিয়ে অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছে। অপর দিকে পাট, শাকসবজি ও বীজতলা সব তলিয়ে গেছে। গত তিনদিন থেকে ওইসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রাণ পায়নি পরিবারগুলো। রান্না করতে না পেয়ে অনেকেই উপোস রয়েছেন। শুকনো খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 
পালেরচর গ্রামের পানিবন্দি রবিউল ইসলাম বলেন, চতুরপাশে থইথই পানি। ছোট শিশুদের নিয়ে ঘরেই আছি,তবে চুলায় আগুন জ্বলাতে না পেয়ে রান্নাবান্না সব বন্ধ আছে। 
একই গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ঘরবাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাব তার কোন নিশানা পাইতেছিনা। সরকারি-বেসরকারি ভাবে কোন সাহায্য পাইনি।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সরকার জানান, আমার ইউনিয়নের ৫ টি গ্রামের ২ হাজার পরিবারের ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে প্রায় দেড়শ বাড়ি।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ৪টি গ্রামে প্রায় ১২’শ পরিবারে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। 
চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল জানান, এই ইউনিয়নে ৭ টি গ্রামে প্রায় ১১’শ পরিবারের প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, বন্যার পরিস্থিতি ভালো না । অস্বাভাবিক ভাবে বন্যার পানিবৃদ্ধি হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়েছে। ৪০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল